বিটিইএ ট্যুরিজম অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাভিশনের শাকিলসহ ১৪ সাংবাদিক
দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে বিশেষ অবদানের জন্য ‘বিটিইএ পর্যটন সাংবাদিক সংবর্ধনা-২০২১’ পেলেন বাংলাভিশন ডিজিটালের স্টাফ রিপোর্টার কেফায়েত শাকিলসহ ১৪ সাংবাদিক।
শুক্রবার (১ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে ক্রেস্টসহ পুরস্কারসামগ্রী তুলে দেয় বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স এসোসিয়েশন (বিটিইএ)। এতে টেলিভিশন ক্যাটাগরিতে ৬, প্রিন্টেড পত্রিকায় ৩, অনলাইন গণমাধ্যমে ২, লাইফস্টাইল ট্যুরিজমে ১ এবং সলো ট্রাভেল ফিচার রাইটার ক্যাটাগরিতে একজন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।
ইলেকট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত সাংবাদিকরা হলেন বাংলাভিশনের কেফায়েত শাকিল, ইনডিপেন্ডেন্ট টিভির মো. সোহেল রানা, বাংলা টিভির মো. আসাদ রিয়েল, দেশ টিভির আনোয়ার হোসেন, সময় টিভির রাশেদ বাপ্পি এবং স্পাইসি টিভি নাঈম উল ইসলাম।
প্রিন্ট পত্রিকা ক্যাটগরিতে পুরস্কার পান দৈনিক সমকালের মো. গোলাম কিবরিয়া, দৈনিক আজকের পত্রিকার সাইফুল ইসলাম মাসুম, উইকলি দি ম্যাসেজ বাংলাদেশের কাজী মোহিনী ইসলাম।
এছাড়া অনলাইন পোর্টাল ক্যাটাগরিতে বাংলানিউজ২৪.কমের মেরাজ মাহবুব ইফতি ও ঢাকা পোস্ট. কমের আদনান রহমান। লাইফস্টাইল ট্যুরিজমে দৈনিক সমকালের তৌহিদুল ইসলাম তুষার এবং সলো ট্রাভেল রাইটার ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন পত্রিকায় ভ্রমণ বিষয়ক ফিচার লিখক রোদেলা নিলা ও স্পেশাল ক্যাটাগরিতে পেয়েছেন লেখিকা কামরুন নাহার বীথি পুরস্কার অর্জন করেন।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সেপ্লোরার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শহিদুল ইসলাম সাগরের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম। বিশেষ অথিতি ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন, গ্লোবাল টেলিভিশনের সিইও ও প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ট্রিয়াব) চেয়ারম্যান খবির উদ্দিন আহমেদ, এফবিসিসিআই হোটেল মোটেল রিসোর্ট অ্যান্ড গেস্ট হাউজের কো-চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন টিপু, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক জহির উদ্দিন আরিফ, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা জিয়াউল হক হাওলাদার। এ সময় অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক জাহিদুর রহমান শাওনসহ সংগঠনের পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে যেগুলোর কোনো প্রচার এবং প্রসারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। এ জন্য সময় এসেছে পর্যটন খাতকে আরও প্রশস্ত করার।
এই খাতকে নিয়ে নতুন কিছু ভাবতে হবে উল্লেখ করে তারা বলেন, বিকল্প কিছু তৈরি করা না গেলে বাংলাদেশের পর্যটন খাত এগিয়ে যাবে না। শুধু সংবাদপত্র পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, বাকি সব প্রতিষ্ঠান কাজ না করে চুপ করে থাকবে এমন করার সুযোগ নেই। সবার যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশের পর্যটন খাতকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন সময়ে প্রচার পাওয়া পর্যটন খাতগুলোর পাশাপাশি নতুন পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে আলোচনায় এনে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বনজ সম্পদ রক্ষায় প্রাইভেট সেক্টরগুলো অনেক ভূমিকা রাখতে পারে। শুধু বন, পাহাড়ি নদী পর্যটনের প্রোডাক্ট নয়, কোনো একটি নিভৃত অঞ্চলের কোনো মানুষের মুখের হাসিটিও পর্যটনের প্রোডাক্ট হতে পারে।
সভা থেকে পর্যটনকে এগিয়ে নিতে এই খাতকে সেবা শিল্পখাত হিসেবে দ্রুত ঘোষণার দাবিও জানান বক্তারা।
বিভি/কেএস
মন্তব্য করুন: