• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ঈদের আগে কুয়াকাটার ৭০ শতাংশ হোটেল-মোটেল অগ্রিম বুকিং

কুয়াকাটা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০৮:৪৮, ২ মে ২০২২

আপডেট: ০৮:৫১, ২ মে ২০২২

ফন্ট সাইজ
ঈদের আগে কুয়াকাটার ৭০ শতাংশ হোটেল-মোটেল অগ্রিম বুকিং

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কুয়াকাটা সৈকতে লাখো পর্যটকদের আগমন ঘটবে বলে মনে করছে হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে ৭০ শতাংশ হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস, রিসোর্ট, কটেজের কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে।

গত দুই ঈদে করোনা মহামারির কারণে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকের দেখা মেলেনি। তবে এ বছর পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। ঈদের আগে অবশিষ্ট কক্ষগুলোও ভাড়া হয়ে যাবে বলে মনে করছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। পুরো রমজান জুড়ে হোটেল ভেদে ৫০/৬০ শতাংশ ছাড় ছিল কিন্তু ঈদ মৌসুমে কোন ছাড় ছাড়াই অধিকাংশ হোটেল-মোটেল রিজার্ভ হয়েছে।

ব্যবসায়ীদের ধারনা, ঈদের দিন থেকেই পুরো এক সপ্তাহ পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকবে সৈকত। ব্যস্ততায় দিন কাটবে পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীদের।

পর্যটকদের বরণ করতে ইতিমধ্যে হোটেল, রেস্তোরাঁসহ বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে সাজসজ্জা ও সংস্কার সম্পন্ন হয়েছে। হোটেল ও মোটেলগুলো নানা রঙে-রাঙিন করে তুলেছে হোটেল মালিকেরা। বিনোদনকেন্দ্র পেয়েছে নতুন রুপ।

পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীরা জানান, পর্যটক না থাকায় রমজান মাসে সৈকত এলাকার দোকানপাট, ঘোড়া, বিচবাইক, চেয়ার-ছাতা, চা-কফি বিক্রির ভ্রাম্যমাণ দোকান, ভাজা মাছ বিক্রির দোকানপাট অলস সময় পার করছিল। অনেকটাই বেকার ছিলো আলোকচিত্রীরা। ঈদের পরদিন থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা-বাণিজ্য চাঙা হয়ে উঠবে। তখন জমজমাট হবে কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে লেম্বুরবন পর্যন্ত। রাখাইন পল্লি, মিস্রিপাড়াসহ দর্শনীয় ও বিনোদনের কেন্দ্রগুলো।

কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ গণমাধ্যমকে বলেন, করোনার কারণে আমরা শত কোটি টাকা লোকসান দিয়েছি। গত দুই ঈদে পর্যটকদের উপস্থিতি তেমন ছিল না। এবার ঈদের ভাল ব্যবসার মাধ্যমে সংকট কাটিয়ে উঠতে শুরু করব। আমরা সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। রুম ভাড়ার তালিকা টানিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। কেউ বেশি ভাড়া ডিমান্ড করলে আমরা দ্রুত ট্যুরিস্ট পুলিশের সাথে সমন্বয় করে ব্যবস্থা গ্রহন করব।

এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ। ভ্রমণে আসা পর্যটকের নিরাপত্তায় এরই মধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন তারা।  কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে পূর্বে গঙ্গামতি পশ্চিমে লেম্বুরবন পর্যন্ত আমরা প্রতিটি পর্যটকদেরকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখব।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: