উত্তরে শীতের দাপটে জুবুথুবু জনজীবন

ফাইল ছবি
মাঘের শীত দাপট দেখাচ্ছে উত্তরে। জবুথবু জনজীবন। হাড়কাঁপানো শীতে কাহিল দিনমজুর ও ছিন্নমুল মানুষ।
কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। বিপাকে জেলার ১৬টি নদনদী তীরবর্তী চার শতাধিক চরের প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ। কাজে যেতে না পারায় খাবার সঙ্কটে দিনমজুর ও তাদের পরিবার। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের দেখা মিললেও নেই উত্তাপ।
৬ষ্ঠ দিনের মতো শৈত্যপ্রবাহ চলছে ঠাকুরগাঁওয়ে। হিমেল বাতাস, কনকনে ঠান্ডা, ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে মাঠঘাট। চরমে উঠেছে জনদুর্ভোগ। শুধুমাত্র দুপুরে দুই-এক ঘণ্টার জন্য সূর্যের মুখ দেখা গেলেও গত ৫দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। হিমালয়ের পাদদেশ হওয়ায় প্রতিবছর এ জেলায় শীতের প্রকোপ অন্য জেলার চেয়ে বেশী।
অনেক যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে রাস্তায়। স্কুলগামী শিশুদের দুর্ভোগ বেড়েছে অনেক। অভিভাবকরা শিশুদের স্কুলে নিয়ে আসতে পড়ছেন বিপত্তিতে। অনেকে স্কুল বন্ধ অথবা সময় পরিবর্তনের কথা বলছেন।
এদিকে দিন-মজুররা পড়েছেন কাজের অভাবে। প্রচন্ড কুয়াশার কারনে কাজ না পেয়ে কষ্টে দিনযাপন করতে হচ্ছে বলে জানান তারা।
জেলার কৃষি সম্প্রসারন অধিদফতর গত ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছেন বলে জানিয়েছেন ।
চুয়াডাঙ্গায়ও কমছে তাপমাত্রা। মাঘের শীতে জবুথবু এখানকার জনজীবন। ঘন কুয়াশা ও উত্তরের হিম বাতাসে বেড়েছে দুর্ভোগ। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজ-কর্ম। হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। এরমধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যা বেশি।
বিভি/এসজি
মন্তব্য করুন: