• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

গভীর নিম্নচাপে পরিণত ‘গুলাব’, নামলো হুঁশিয়ারি সংকেত

প্রকাশিত: ০৯:২৩, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

আপডেট: ০৯:৩০, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

ফন্ট সাইজ
গভীর নিম্নচাপে পরিণত ‘গুলাব’, নামলো হুঁশিয়ারি সংকেত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ ভারতের উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ-দক্ষিণ উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করে দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশের ওপর থেকেও এর প্রভাব কেটে গেছে। তাই বাংলাদেশের চারটি সমুদ্রবন্দর থেকে নামলো ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত।

ঘূর্ণিঝড় 'গুলাব' রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে অন্ধ্রপ্রদেশ ও উড়িষ্যা উপকূলে তাণ্ডব চালায়। এতে নৌকা উল্টে দু’জন মারা গেছে বলে খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর। 

এতে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে ভারতের উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ-দক্ষিণ উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করে গভীর নিম্নচাপ হিসেবে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কাছাকাছি দক্ষিণ উড়িষ্যায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে সোমবার বিকাল পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। 

এর আগে রবিবার ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করেছে। গুলাব দুপুরে ছিলো চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৮০ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ পশ্চিমে, এখন তা আরও সরে গিয়ে ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। একইভাবে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে ছিলো, এখন তা ৫২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। তবে মোংলা ও পায়রা বন্দরের দিকে কিছুটা এগিয়েছে। মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ছিলো ৪৫০ কিলোমিটার দূরে, এখন আছে ৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে। পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার থেকে এগিয়ে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

গভীর নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থলের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপের কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আঞ্চলিক কমিটি ঝড়ের নামকরণ করে। ২০০৪- থেকে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলোয় ঝড়ের নামকরণ শুরু হয়। ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলোর নামকরণ করে এই সংস্থার আঞ্চলিক কমিটির অধীন বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও ওমান—এই আট দেশ। এবারের ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ নামটি পাকিস্তানের প্রস্তাব করা। এর অর্থ গোলাপ ফুল। এর আগে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের নাম ছিলো ‘ইয়াস’। গত মে মাসে এটি ভারতের উড়িষ্যায় আঘাত হানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছিলো।

 

বিভি/রিসি 

মন্তব্য করুন: