নিম্নচাপ রূপ নিয়েছে লঘুচাপে, তলিয়ে গেছে উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল
বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হওয়ায় ২ থেকে ৩ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে পটুয়াখালীর উপকূলের নিম্নাঞ্চল। এছাড়া টানা চার দিনের ভারি বৃষ্টি জনজীবন স্থগিত হয়ে পড়েছে গত ২৪ ঘন্টায় ৭৬.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে এবং এই আবহাওয়া আরো ৭২ ঘণ্টা থাকবে বলে জানিয়েছে অফিস।
এদিকে পূর্ণিমার জোয়ারের অস্বাভাবিক পানির তোড়ে উপকূলীয় বেড়িবাধ অতিক্রম করে পানি প্রবেশ করেছে লোকালয়। প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা।
প্লাবিত হয়েছে রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া, চরমোন্তাজ, কাউখালী এবং কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ও চম্পাপুরসহ প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম। এতে দুর্বিসহ দিন কাটছে নিম্ন আয়ের মানুষের। হুমকির মুখে রয়েছে উপকূলের মাছের ঘেরসহ নানা ফসলের ক্ষেত।
অন্যদিকে জোয়ারের পানিতে স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় চরম বিপাকে পড়েছে এসব এলাকার মানুষ ।
পায়রাসহ দেশের সব সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর ও নদীগুলোতে ১ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। এবং পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয় থাকতে বলা হয়েছে।
এরইমধ্যে শত শত ট্রলার সাগর থেকে এসে মহিপুর ও আলিপুর মৎস বন্দরে নোঙর করেছে। আজও ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে।
এছাড়াও উপকূলীয় বেড়িবাধের বাহিরের এলাকায় বসবাস করা শতশত লোকজনকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। তবে জেলায় এখন পর্যন্ত বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কোন খবর পাওয়া যায়নি।
বিভি/এসকে/এজেড
মন্তব্য করুন: