• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

ফরিদপুরে স্ত্রীকে হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ

প্রকাশিত: ১৪:৪০, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
ফরিদপুরে স্ত্রীকে হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ

ফরিদপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার মামলায় স্বামীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মামলার অপর তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

ফরিদপুরের নারী ও শিশু ট্রাইবুনাল, বিচারক জেলা ও দায়রা জজ প্রদীপ কুমার রায় আজ সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামিরা আদালতে হাজির ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামির নাম মো. সরোয়ার শেখ (৩৫)। তিনি মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের আলগাপাড়া গ্রামের চুন্নু শেখের একমাত্র সন্তান। পেশায় ভ্যানচালক।

খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, সরোয়ার শেখের মাতা ছাহেরা বেগম (৫৫) এবং মামা ওবায়দুল শেখ (৪৫) ও আলিয়ার শেখ (৬০)। 

নিহত ওই গৃহবধূ ফরিদা বেগম উপজেলার বাগাট গ্রামের রাশেদ শেখ ও মর্জিনা বেগমের বড় মেয়ে ছিল। ২০১৭ সালের ৬ জুলাই ফরিদার লাশ উদ্ধার করা হয়। এর ১৩ দিন পরে ফরিদার মা মর্জিনা বেগম বাদি হয়ে মধুখালী থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘটনার দিন সকালে তার মেয়ে তাকে মোবাইলে কল করে জানায়, ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য তার স্বামী তাকে মারপিট করছে। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি লোক মারফত খবর পান, তার মেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মারা গেছে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে তিনি মেয়েকে জামাইয়ের বাড়ির বারান্দায় শোয়ানো অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তিনি মেয়ের গলায় ফোলা ও কাপড় পেচানো দাগ দেখতে পান।

এ ঘটনার পর পুলিশ আলামত জব্দ করে লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় এবং মধুখালী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করে। মরদেহের ময়নাতদন্তে গৃহবধূ ফরিদাকে গলা টিপে শ্বাসরোধে হত্যার প্রতিবেদন পাওয়া যায়। এ অবস্থায় আদালতে একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মনিরুজ্জামান ইতোপূর্বে দায়েরকৃত অপমৃত্যু মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন আদালতে।

মামলার পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, ‘ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে নিহতের গলায় চারটি আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাকে গলাটিপে হত্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে এতে। রাষ্ট্রপক্ষ আসামি সরোয়ার শেখের বিরুদ্ধে 'নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন,২০০০' এর ১১(ক) ধারায় অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হওয়ায় আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হলো। এছাড়া আসামিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দন্ডিত করা হলো।’

মামলায় মোট নয়জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষী দেন। মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নারায়ণ চন্দ্র দাস এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন স্বপন পাল।

আইনজীবী স্বপন পাল বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আদালত ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করেছেন।

বিভি/এনএ

মন্তব্য করুন: