এক নারী উদ্যোক্তার লড়াই
অবস্থা খারাপ হওয়ায় একমাস আগেই ডেলিভারি করতে বাধ্য হন ডাক্তার। বাচ্চাটা এতো ছোট হয়েছিল যে, তার জন্য আটচল্লিশ ঘন্টা পিআইসিইউতে সার্ভাইভ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এদিকে আমার স্ত্রীর পেটে ইনফেকশন ধরা পড়ে। হাসপাতালের খরচ যখন তিন লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায় তখন বাচ্চাকে পিআইসিইউতে রেখেই স্ত্রীকে বাসায় নিয়ে আসতে বাধ্য হই। প্রচন্ড ব্যাথা নিয়ে মেয়েটা সিঁড়ি বেয়ে চারতলা বাসায় উঠেছিল। এরই মধ্যে প্রতিনিয়ত সে অফিসে ফোন করে খোঁজ নিত। বাসায় এম্প্লয়িরা আসত কাগজপত্র নিয়ে। একপর্যায়ে বাচ্চা ও মা দুজনই সুস্থ হয়। কিন্তু পরবর্তি ছয়মাসে ছোট ছেলেটা আরো দুইবার পিআইসিউতে ভর্তি হয়, তিনবার নরমাল হাসপাতালে ভর্তি হয়, বড় মেয়ে ভর্তি হয় দুইবার। ডেলিভারির ছয়মাসের মাথায় আমার স্ত্রী’র অ্যাপেনডিসাইটিস অপারেশন হয়। এর একমাস পরে করোনায় সিভিয়ার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেসময় আমার হাত ধরে বলেছিল আমি বোধহয় মারা যাচ্ছি।
রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২, ১৪:৩৫