বঙ্গবন্ধু নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এদেশ স্বাধীন করেছেন: শিল্পমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিভিন্ন নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এদেশ স্বাধীন করেছেন। তিনি কোনো অন্যায় ও সহিংস পথ অবলম্বন করেননি বলে উল্লেখ করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
বুধবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিলে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ ২৪ বছরের বিভিন্ন নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ফসল। তার নেতৃত্বে ধাপে ধাপে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন যথাক্রমে '৫২-এর ভাষা আন্দোলন, '৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, '৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন, '৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, '৭০-এর নির্বাচন ও সবশেষে '৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ছিলেন পুরোদস্তুর একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি মানুষকে পড়তে পারতেন এবং তাদের হৃদয়ের ভাষা গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারতেন। মানুষকে একত্রিত ও সংগঠিত করার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল তার। তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যেতেন এবং তাদের দুঃখ-কষ্টে পাশে দাঁড়াতেন।’
মন্ত্রী আরও বলেন, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী প্রমুখ নেতারাও মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট সৃষ্টিতে অবদান রেখেছেন। তবে এতে সবচেয়ে মুখ্য ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ছিলেন এই যুদ্ধের মূল স্ট্রাইকার।
আলোচনা সভায় মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দফতর-সংস্থার প্রধানরাসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, মন্ত্রী এর আগে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় প্রাঙ্গণে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর তিনি মন্ত্রণালয়ের বঙ্গবন্ধু কর্নার পরিদর্শন করেন এবং পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মন্ত্রণালয়ের নিম্ন বেতনভোগী কর্মচারীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: