সেনা শাসকরা জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে অবদান রাখেনি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সামরিক শাসকরা দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে নয়; নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত থেকেছে। ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ এবং গবেষণায় অনুদান পদক’ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সেনা শাসকরা ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নষ্ট করেছে। তাঁর দাবি করেন, আওয়ামী লীগ সরকারই শিক্ষা পরিবেশ ফিরিয়ে এনেছে এবং অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করেছে। আজ (বৃহস্পতিবার) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষক ও বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলোশিপ এবং গবেষণা-অনুদান প্রদান অনুষ্ঠান। এতে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, সরকার শিক্ষা-গবেষনায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ, সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। বিভাগীয় পর্যায়ে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, মেরিটাইম, টেক্সটাইলসহ জেলায় জেলায় বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের মধ্য দিয়ে জ্ঞানের নতুন নতুন ক্ষেত্রে শিক্ষা অর্জনে তরুণদের সুযোগ করে দেয়ার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। গবেষণায় বরাদ্দ দেয়া জনগণের টাকা যেন মানুষের কাজে লাগে, সেটি মাথায় রেখে গবেষকদের কাজ করার আহবান জানান তিনি। কৃষিতে নতুন নতুন ফসল এবং জাত উদ্ভাবনের পাশাপাশি রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণে গবেষণার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। রূপপুর ছাড়াও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরো একটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কথাও জানান শেখ হাসিনা। বলেন, করোনা ভাইরাস যখন পারেনি; তখন দেশের এগিয়ে যাওয়া আর কেউ ঠেকাতে পারবে না।
বিভি/এমএইচকে
