• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

এক বছরে সড়কে ঝরলো ৭৮০৯ প্রাণ

প্রকাশিত: ১৩:৩০, ২৩ জানুয়ারি ২০২২

ফন্ট সাইজ
এক বছরে সড়কে ঝরলো ৭৮০৯ প্রাণ

ফাইল ছবি

বিদায়ী ২০২১ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় সাত হাজার ৮০৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন নয় হাজার ৩৯ জন। রবিবার (২৩ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি আয়োজিত ‘বার্ষিক সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন-২০২১ প্রকাশ’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, করোনায় ৮৫ দিন গণপরিবহন বন্ধ থাকার পরেও গত বছর পাঁচ হাজার ৬২৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় সাত হাজার ৮০৯ জন নিহত হয়েছেন। একই সময় রেলপথে ৪০২টি দুর্ঘটনায় ৩৯৬ জন নিহত হয়েছেন। নৌপথে ১৮২টি দুর্ঘটনায় ৩১১ জন নিহত এবং ৫৪৪ জন নিখোঁজ হয়েছে। সবমিলেয়ে ছয় হাজার ২১৩টি দুর্ঘটনায় আট হাজার ৫১৬ জন নিহত ও নয় হাজার ৭৫১ জন আহত হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, মোট দুর্ঘটনার ৫৪.০৭ শতাংশ পথচারীকে গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২২. ১৭ শতাংশ সংঘর্ষ, ১৬. ১৩ শতাংশ খাদে পড়ে, ৬. ২১ শতাংশ বিবিধ কারণে, ০. ৫৩ শতাংশ চাকায় ওড়না পেছিয়ে এবং ০.৮৭ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

সংবাদ সম্মেলনে সড়ক দুর্ঘটনার বেশ কিছু কারণ তুলে ধরা হয়। বিশেষ করে বেপরোয়া গতি, বিপদজনক অভারটেকিং, রাস্তাঘাটে ত্রুটি, ফটিনেসবিহীন যানবাহণ, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চালকের অদক্ষতার কারণে দুর্ঘটনা বেশি ঘটে।

এসময় সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকারের কাছে ১২ দফা সুপারিশ জানায় সংগঠনটি। সুপারিশগুলো হচ্ছে— সড়ক নিরাপত্তায় বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করা; আইনের ত্রুটি চিহ্নিত করে সংস্কারপূর্বক ডিজিটাল পদ্ধতিতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা; সড়ক নিরাপত্তায় বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো, সড়ক মন্ত্রণালয়ে আলাদা সড়ক নিরাপত্তা ইউনিট গঠন; সড়ক নিরাপত্তায় ইতিমধ্যে প্রণীত যাবতীয় সুপারিশমালা বাস্তবায়ন উদ্যোগ নেওয়া; দেশের সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন (ট্রাফিক চিহ্ন) স্থাপন করা; জেব্রা ক্রসিং অংকন করা; গণপরিবহন চালকদের পেশাদার ট্রেনিং ও নৈতিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা; সড়ক পরিবহন সেক্টরে অনিয়ম-দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা; গাড়ির ফিটনেস ও চালকদের লাইসেন্স দেওয়ার পদ্ধতি উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তালমিলিয়ে আধুনিকায়ন করা; সড়ক দুর্ঘটনায় আর্থিক সহায়তা তহবিল গঠনপূর্বক হতাহতদের দ্রুত উন্নত চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা; দেশব্যাপী চাহিদানুযায়ী পর্যাপ্ত মানসম্মত নতুন পরিবহন নামানোর উদ্যোগ নেওয়া; ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যদের প্রশিক্ষণের জন্য ট্রেনিং একাডেমি গড়ে তোলা এবং গণপরিবহনে সেবা ও নিরাপত্তার মান পর্যবেক্ষণের জন্য দেশের সব মন্ত্রী, সংসদ সদস্য সচিব, জেলা প্রশাসকদের প্রতি মাসে একদিন পরিচয় গোপন রেখে গণপরিবহন ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা।

বিভি/এএন

মন্তব্য করুন: