ভালুকার কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় দিন দিন আখ চাষের সম্ভাবনা বাড়ছে। এই উপজেলার মাটি আখ চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় স্থানীয়ভাবে আখ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। প্রতি বছরই বাড়ছে আখের আবাদ।

গত কয়েক বছর ধরে ভালুকা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকরা আখ চাষ করে আলোর মুখ দেখছেন। একর প্রতি আড়াই থেকে ৩ লক্ষাধিক টাকার আখ বিক্রয় করছেন এখানকার কৃষকরা।

স্থানীয়ভাবে পরিচিত অমৃত, সুন্দরী, রংবিলাশ জাতের আখই বেশি চাষ হয় এই উপজেলায়। যার উৎপাদন খরচ একর প্রতি ৫০-৬০হাজার টাকা। তাই প্রতি একরে প্রায় ২ লাখের বেশি টাকা লাভ হয়। এ জন্য প্রতি বছর কৃষকদের আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, লাভজনক ফসল হলেও আখ চাষে তারা অধিক চাষের সাহস করেন না। কারণ হিসেবে তাদের কাছ থেকে জানা যায়, বাণিজ্যিকভাবে চিনিকলগুলো এজাতের আখ কেনে না। শুধু মুখে চিবিয়ে কিংবা রস করে খাওয়া হয়। চিনি কলগুলোতে কেনা হলে কৃষকরা আখ চাষে অনেক লাভবান হবেন।

আখ চাষিরা আরও জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারো আখ চাষ করেছেন তারা। স্থানীয় ভাবে পাইকাররা তাদের ক্ষেত থেকে আখ ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন।

আবহাওয়া ভালো থাকায় এবারে তেমন একটা রোগ বালাই দেখা দেয়নি। দামও ভালো আছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি লাভের আশা করছেন তারা। তবে বাণিজ্যিকভাবে চিনিকলগুলোর কাছে বিক্রির ব্যবস্থা থাকলে আরও বেশি উপকৃত হতেন তারা।

ভালুকা উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা জেসমিন জাহান জানান, উপজেলার মাটি আখ চাষের জন্য অধিকতর উপযোগী হওয়ায় কৃষকদের আখ চাষের জন্য উৎসাহিত করার পাশাপাশি সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি অফিস।