ভূমধ্যসাগরে ডুবে বাবার মৃত্যু, অপেক্ষায় দুই অবুঝ মেয়ে

নিহত কায়সার
চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়ায় নৌকা ডুবিতে নিহত হয় ৯ জন। ৮ বাংলাদেশীর মধ্যে ৫ জনের বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায়। নিহতরা হলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার শেনদিয়া গ্রামের সজল, একই উপজেলার কদমবাড়ি উত্তরপাড়ার নয়ন বিশ্বাস, স্বরমঙ্গল গ্রামের মামুন সেখ, তেলিকান্দি গ্রামের কাজি সজীব ও কায়সার কবিরাজপুর ইউনিয়নের কিশোরদিয়া গ্রামের তোতা খলিফার ছেলে।
২০ বছর আগে বাবা তোতা খলিফা মারা যায়। কায়সার সর্বস্ব শেষ করে এবং সুধের উপর টাকা এনে বিদেশ যাওয়া স্বপ্ন দেখে। কিন্তু দালালের প্রলোভনে পড়ে আমার সব শেষ হয়ে যায়। অবৈধ পথে ইতালি যাওয়ার সময় মারা যায় সে।
ছোট দুটি মেয়ে ও স্ত্রীকে রেখে সুদের টাকায় বিদেশের উদ্দেশ্যে বাড়ি ছাড়ে। আজ রাতই বাড়িতে ফিরেছে লাশ। বড় মেয়ে জান্নাতী আক্তার(৮) দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ও ছোট মেয়ে ফাতেমার বয়স মাত্র ৩ বছর। বাবা ঢাকায় ফেরি করে সংসার চালাতো। কষ্ট করে চললেও মাথার উপর বাবা নামক ছায়াটি ছিল। আজ অপেক্ষা করছে বাবার লাশের।
শেষবারের মত বাবার মুখ খানি দেখতে পারবে এটাই শান্তনা বড় মেয়ে জান্নাতির। ছোট মেয়ে ফাতেমা পারছে না এসব। সে কি হারাল তা হয়তো বুঝতে পারবে বড় হলে। তখন হয়ত বাবার চেহারাও মনে থাকবে না। সুখের আশায় বাবা মারা গেল সাগরে ওরাও পড়লো দুঃখ কষ্টের সাগরে। অবুঝ দুই মেয়েকে নিয়ে কি করবে কায়সারের স্ত্রী তা বুঝে উঠতে পারছে না।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: