জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ শাওনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ শাহাদাত হোসেন শাওন
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে নিহত শহীদ শাহাদাত হোসেন শাওনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ মে) দুপুরে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের খাজুরিয়া সর্দার পাড়া শাওনের পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালীরতে মর্গে পাঠানো হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশার (ভূমি) মো. জাহিদুল ইসলামের উপস্থিতিতে কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এসময় সেনবাগ সরকারী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার কামাল উদ্দিন, সেনবাগ থানার ওসি তদন্ত হযরত আলী মিলন, স্থানীয় কেশারাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হক সুমন, যাত্রাবাড়ী থানার এস আই ইমরান হোসেন, সিআইডির একটি দল উপস্থিত ছিলেন।
শহীদ শাহাদাত হোসেন শাওন উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের খাজুরিয়া সর্দার পাড়া বাছির আলমের ছেলে। চার ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছিলো সবার ছোট। সে ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে একটি মাদরাসার ছাত্র ছিলো।
শাওনের বাবা বাছির আলম বলেন, ৫ আগস্ট বিকালে রাজধানীর যাত্রবাড়ীতে মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিল আমার ছেলে শাহাদাত হোসেন শাওন। এ সময় পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলিতে গুরুতর আহত হয়। তার মাথায় গুলি লেগেছিল। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাকে দাফন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। এটা সবাই জানে। ঘটনাটি তদন্ত করলে সঠিক কারণ বেরিয়ে আসবে। আমার ছেলের হত্যায় যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ ঘটনায় ২০২৪ সালের তিনি মোঃ বাছির আলম বাদী হয়ে প্রথমে কোর্টে, পরে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। দুটি মামলায় ৮২ জনের নাম উল্লেখ করা হয় বলে জানান।
দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শাহাদাত হোসেন শাওনের মরদেহ উত্তোলনের জন্য কবরস্থানে এসেছিলাম।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: