অফিসে ডেকে কিশোরীকে ধর্ষণ করলো চেয়ারম্যানের ভাই
চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত চেম্বারে ডেকে এনে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যানেরই ফুফাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে ওই চেয়ারম্যানের ফুফাতো ভাই লিটন সরকারকে আটক করেছে পুলিশ। নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার নগর ইউনিয়নে ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা গেছে. নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেবেশ তালুকদারের ব্যক্তিগত ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৪ বছরের এক কিশোরী। ঘটনার ১৫ দিন পর থানায় মামলা করা হয়। মামলার একমাত্র আসামি লিটন সরকারকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার তাকে নেত্রকোনা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খালিয়াজুরী থানার ওসি মো. মজিবুর রহমান জানান, গতকাল বুধবার বিকাল পৌনে ৫টায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে লিটনকে একমাত্র আসামি করে মামলাটি করেন।
লিটন পার্শ্ববর্তী জেলা সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার বিষ্টপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং চেয়ারম্যানের ফুপাতো ভাই। তিনি খালিয়াজুরীর বল্লভপুর গ্রামে বিয়ে করার সুবাদে শ্বশুরবাড়ি থেকে ধান কাটার কাজ করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধান কাটতে ওই এলাকায় আসায় কিশোরীর সঙ্গে পরিচয় হয় লিটনের। পরে মোবাইলে যোগাযোগ হয় তাদের। এব পর্যায়ে লিটন বিয়ের প্রস্তাবও দেন কিশোরীকে। এই আশ্বাসে গত ৫ মে রাতে চেয়ারম্যান দেবেশের ব্যক্তিগত চেম্বারে নিয়ে যান কিশোরীকে। সেখানে সারারাত কাটানোর পর ভোররাতে ঘুমে রেখেই পালিয়ে যায় লিটন।
বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেবেশ তালুকদার সালিশের মাধ্যমে শেষ করে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও শেষ হয়নি। পরবর্তীতে ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামের ইউপি সদস্য পল্টু সামন্ত কিশোরীকে নিয়ে তার গ্রামের বাড়িতে চলে যান। কিন্তু ১৫ দিনেও কোনো বিচার সালিশ না পেয়ে কিশোরীর দিনমজুর বাবা (২৫ মে) খালিয়াজুরী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য পল্টু সামন্ত সাংবাদিকদের জানান, কিশোরীকে চেয়ারম্যানের নির্দেশে আদমপুর থেকে নিয়ে এসেছেন সত্য। তবে রাতের বিষয়টি তিনি সঠিক বলতে পারবেন না।
এ বিষয়ে জানতে ইউপি চেয়ারম্যানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোনটি কেটে দেন।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: