শেখ হাসিনা ও কামালের যে সাজা চেয়েছেন প্রসিকিউশন
জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ সাজার প্রত্যাশা করেছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে শেখ হাসিনার মামলার রায়ের দিন ধার্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করার জন্য বাংলাদেশে ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়।
'দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) অ্যাক্ট, ১৯৭৩' আইনের অধীনে এই ট্রাইব্যুনালে আসামি গ্রেফতার, বিচার এবং সাজা দেওয়া হয়।
সময়ের বিবর্তনে এই আইনে সংশোধনী এনে বেশ কিছু ধারা সংযোজন ও বিয়োজন করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনানুযায়ী, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিধানও রয়েছে।
এই আইনের ২০ ধারায় দণ্ড সম্পর্কে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির দোষী সাব্যস্ত হওয়া বা নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার কারণ ট্রাইব্যুনালের রায়ে উল্লেখ করতে হবে।
ট্রাইব্যুনাল আইনে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তার অপরাধের গুরুত্ব অনুপাতে ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড বা অন্য যে কোনো শাস্তি দিতে পারবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামীম বলেন, আসামির অপরাধের সাথে সম্পৃক্ততা বা অপরাধের গভীরতা অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল যে কোনো শাস্তি দিতে পারবেন। মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিতে পারেন, আমৃত্যু কারাদণ্ড দিতে পারেন। এর চেয়ে কম বিভিন্ন মেয়াদের সাজাও দিতে পারে ট্রাইব্যুনাল।
এদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামআজ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি আদালতের কাছে প্রেয়ার করেছি। আদালত তার সুবিবেচনা প্রয়োগ করবেন এবং আমাদের পক্ষ থেকে প্রেয়ার হচ্ছে যে এই অপরাধের দায়ে আসামিদের যেন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
বিভি/টিটি




মন্তব্য করুন: