• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

ক্যাসিনোকাণ্ড

এনু-রুপনের মানি লন্ডারিংয়ের মামলার রায় বুধবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৯:৪৫, ৫ এপ্রিল ২০২২

আপডেট: ১০:০০, ৫ এপ্রিল ২০২২

ফন্ট সাইজ
এনু-রুপনের মানি লন্ডারিংয়ের মামলার রায় বুধবার

এনু-রুপন ও তাদের সহযোগী

ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা পুরান ঢাকার দুই ভাই এনামুল হক ভূঁইয়া ওরফে এনু, রুপন ভূঁইয়ার মামলায় রায় আগামীকাল বুধবার (৬ এপ্রিল) ধার্য করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারসহ ১২টি মামলা রয়েছে। ওই মামলাগুলোর মধ্যে রাজধানীর ওয়ারী থানার মানিলন্ডারিং আইনের একটি মামলায় এনু-রুপনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আগামীকাল রায়ের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করবেন। গত ১৬ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের এ তারিখ ধার্য করেন বলে জানান সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম।

মামলার অন‌্য আসামিরা হলেন- মেরাজুল হক ভূঁইয়া শিপলু, রশিদুল হক ভূঁইয়া, সহিদুল হক ভূঁইয়া, পাভেল রহমান, তুহিন মুন্সি, আবুল কালাম আজাদ, নবীর হোসেন শিকদার ও সাইফুল ইসলাম। তাদের মধ্যে শিপলু, রশিদুল, সহিদুল ও পাভেল মামলার শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন। তুহিন জামিনে আছেন। অন‌্য ৬ আসামি কারাগারে আছেন।

রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা ১২ বছরের কারাদণ্ড প্রত্যাশা করছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর শওকত আলম। তিনি বলেন, ‘আমরা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছি। কাজেই আশা করছি, আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা হবে।’

এনু-রুপনের আইনজীবী রাজীব সরকার বলেন,‘আসামিদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, আসলে তা সত্য নয়। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। কাজেই আমরা প্রত্যাশা করছি আসামিরা খালাস পাবেন।’

জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনো খেলা পরিচালনাকারী এনুর কর্মচারী আবুল কালাম আজাদের বাসায় ক্যাসিনো থেকে উপার্জিত টাকা উদ্ধারের জন্য ওয়ারীর লালমোহন সাহা স্ট্রীটের বাড়ি ঘেরাও করে র‌্যাব। কালামের স্ত্রী ও মেয়ের দেখানো মতে ৪র্থ তলার বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে দুই কোটি টাকা উদ্ধার করে র‌্যাব।

এর পর ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি তাদের গ্রেফতার করে র‌্যাব। মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২১ জুলাই ১১ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ ছাদেক আলী।

গত বছরের ৫ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: