• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

মুগদায় গৃহবন্দি তরুণীকে কানাডা সরকারের হাতে তুলে দিলেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত: ১৩:০২, ১৭ এপ্রিল ২০২২

ফন্ট সাইজ
মুগদায় গৃহবন্দি তরুণীকে কানাডা সরকারের হাতে তুলে দিলেন হাইকোর্ট

সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর উত্তর মুগদায় ১০ মাস ধরে ‘গৃহবন্দি’ থাকা ১৯ বছর বয়সী বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত সেই কানাডিয়ান তরুণীকে দেশটির সরকারের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

রবিবার (১৭ এপ্রিল) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

এসময় হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানীকে আজই ওই তরুণীকে কানাডিয়ান হাইকমিশনে পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে তরুণীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেছেন আদালত। তরুণীর বাবা-মা দেখা করতে চাইলে সেই ব্যবস্থা করতে কানাডিয়ান হাইকমিশনকে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। বাবা মায়ের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. অজিউল্লাহ। তরুণীর বাবা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া কানাডিয়ান হাইকমিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার কানাডা হাইকমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশি বাবা-মায়ের সন্তান ১৯ বছরের কানাডিয়ান তরুণীর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা, থাকা খাওয়ার খরচ বহনসহ সব ধরণের নিরাপত্তা দেবে কানাডা সরকার। হাইকোর্টকে লিখিতভাবে কানাডা হাইকমিশনের পক্ষে এতথ্য জানান রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন। পরে বিচারপতিরা এজলাস কক্ষে একান্তে তরুণীর কথা শোনেন।

গত ৫ এপ্রিল রাজধানীর উত্তর মুগদায় ১০ মাস ধরে বাবা-মায়ের বাসায় গৃহবন্দি থাকা ১৯ বছরের কানাডিয়ান তরুণীকে হাজির করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। মুগদা থানার পুলিশ ও তার বাবা-মাকে তরুণীকে হাজির করতে বলা হয়। একইসঙ্গে ১৯ বছরের তরুণীর অসম্মতিতে তাকে ১০ মাস ধরে আটক রাখা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

রিটের নথি থেকে জানা যায়, ১৯ বছরের ওই তরুণীর জন্ম কানাডায়। তিনি জন্মসূত্রে কানাডার নাগরিক। কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তার বাবা-মাও কানাডায় থাকতেন। ১০ মাস আগে তার বাবা-মা বেড়ানোর কথা বলে তাকে নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। এরপর ওই তরুণী কানাডায় ফিরে যেতে চাইলেও তাকে যেতে দেওয়া হয়নি।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, তরুণীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাকে তার নানি ও মা সবসময় বাসায় বন্দি করে রাখেন। এক পর্যায়ে ওই তরুণী ল্যান্ড ফোনে কানাডা সরকার ও ঢাকায় কানাডিয়ান হাইকমিশনকে তাকে জোরপূর্বক ঘরবন্দি করে রাখার কথা জানান। ওই তরুণী কানাডায় ফিরে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানান। 

গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মুগদা থানায় কানাডিয়ান হাইকমিশন থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়। তারপর হাইকমিশনের পক্ষে মানবাধিকার সংগঠন ব্লাস্ট, আইন ও সালিশ কেন্দ্র হাইকোর্টে রিট করে। রিটে পুলিশের আইজি, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, মুগদা থানার ওসি, ওই তরুণীর বাবা-মাকে বিবাদী করা হয়।

বিভি/এএন

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2