• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক কারাগারে 

প্রকাশিত: ১৯:৩১, ২৮ মার্চ ২০২৪

ফন্ট সাইজ
স্বাস্থ্য অধিদফতরের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক কারাগারে 

দুর্নীতি মামলায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের রংপুর বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) মো. ফজলুল হককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক জনাব মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। 

এর আগে আসামির আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। এসময় দুদকের আইনজীবী মো. রফিকুর ইসলাম জুয়েল জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আসামির জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে বজলুল হক এম. এল. এস. এস. পদে রংপুর মেডিক্যাল কলেজে যোগদান করেন। পরবর্তীকালে ২০০৪ সালে অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক, ২০০৯ সালে স্টোর কিপার ও ২০১২ সালে প্রধান (চ:দা:) পরিচালক হিসেবে স্বাস্থ্যের দফতর রংপুর বিভাগে কর্মরত রয়েছন। পরবর্তীকালে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন’-২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আতাউর রহমান সরকার বাদি হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি দায়ের করেন। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২ কোটি ৪০ লাখ ১৩ হাজার ২৯৪ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন। অভিযোগের সত্যতার ভিত্তি পাওয়ায় দুদক তার সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করে। পরে ২০১৯ সালের ৩০ জুন তার নামীয় সম্পদ বিবরণী দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করেন। দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী অনুসন্ধানকালে মো. ফজলুল হকের নিজ মালিকানায় রংপুর জেলার সদর উপজেলাধীন দেওডোবা মৌজায় ১টি বিল্ডিং ও ১টি টিনসেড বাড়ি, রংপুর জেলার সদর উপজেলাধীন দেওডোবা বানিয়াপাড়া, মলাখাওয়ার পাথার, আলমনগর, দর্শনা, ফতেপুর ও পাইকার পাড়া এলাকায় প্রায় চার একর জমি ও কুড়িগ্রাম জেলার কাশিপুর ইউনিয়নে জমিসহ স্থাবর সম্পদ এবং আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিকস সামগ্রী স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পায় দুদক। এর মধ্যে ২ কোটি ৪০ লাখ ১৩ হাজার ২৯৪ টাকার সম্পদ অর্জনের স্বপক্ষে আয়ের বৈধ কোনো উৎস সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে দেখাতে পারেননি মো. ফজলুল হক।

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন: