চট্টগ্রামে বেপরোয়া কিশোরগ্যাংয়ের হাতে ৬ বছরে খুন ৩৪
প্রতীকী ছবি
নাগরিক জীবনে নতুন আতংক কিশোর গ্যাং। চট্টগ্রাম মহানগরীতে কয়েকজন কাউন্সিলর ও বড়ভাইদের প্রশ্রয়ে দিন দিন ভয়ংকর হয়ে উঠছে এসব কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। মহানগরীতে এখন সক্রিয় অন্তত দুশ কিশোরগ্যাং। বেপরোয়া এ গ্যাংয়ের হাতে ছয় বছরে প্রাণ দিয়েছেন এক চিকিৎসকসহ ৩৪ জন।
মাঝে-মধ্যে অভিযানে কিছু গ্রেফতার হলেও কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না কিশোর অপরাধ। এজন্য রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন আর সুশাসনের ঘাটতিকে দুষছে সুশীল সমাজ। প্রশয়দাতা রাজনীতির বড় ভাইদেরও বিচারের আওতায় আনার তাগিদ দিয়েছেন তারা।
মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ অর্ধশত এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এলাকায় আধিপত্য বজায় রাখতে প্রায়ই চলছে মহড়া। খুনোখুনি থেকে শুরু করে জায়গা দখল, অপহরণ, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মারামারি, অস্ত্রবাজি, নারী-শিশু উত্ত্যক্তসহ নানা অপরাধে জড়িত তারা।
২০১৮ সালে জামাল খানে স্কুলছাত্র আদনান ইসফারকে গুলি করে হত্যার ঘটনার পর আলোচনায় আসে কিশোর গ্যাং। এরপর থেকে গত ছয় বছরে ছয়শ'রও বেশি অপরাধের সাথে তারা জড়িত। সর্বশেষ তাদের হাতে খুন হন চিকিৎসক কোরবান আলী।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় জানান, পুলিশ বলছে, ৮ মাসে এলাকাভিত্তিক কিশোর গ্যাংয়ের প্রধানসহ দু'শ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারপরও থামছে না এদের দৌরাত্ম্য।
এই অপরাধ দমনে শুধু কিশোরদের না ধরে, প্রশয়দাতাদেরও আইনের আওতায় আনার তাগিদ নাগরিক প্রতিনিধিদের।
রাজনীতিবিদরা বলছেন, সমাজে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়ায় কিশোর অপরাধও বেড়েছে।
সমাজ বিজ্ঞানীরা বলছেন, পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা থেকে কিশোররা অপরাধে জড়াচ্ছে। শিক্ষার পাশাপাশি তাদের পুনর্বাসনও জরুরি।
রাজনীতিক ও প্রশাসনের সদিচ্ছায় কিশোরগ্যাং নিয়ন্ত্রণ সম্ভব মনে করেন সচেতন নাগরিকরা।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: