• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

পাওনা টাকা চাইতে গিয়েই খুন হন মিষ্টি বিক্রেতা নারায়ণ

প্রকাশিত: ১৪:০৮, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১

ফন্ট সাইজ
পাওনা টাকা চাইতে গিয়েই খুন হন মিষ্টি বিক্রেতা নারায়ণ

চাঁদপুরে বস্তাবন্দী অবস্থায় উদ্ধার করা দই-মিষ্টি বিক্রেতা নারায়ণ চন্দ্র ঘোষের মৃতদেহের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। পাওনা টাকা চাইতে গিয়েই বাকবিতণ্ডার জের ধরে তাঁকে খুন করে একই বাজারের সেলুন দোকানের কর্মচারী রাজু চন্দ্র শীল। এই ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগস্থ সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থারটির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে চাঁদপুর শহরের বিপনীবাগ মার্কেটের পৌর পানির পাম্পের স্টাফ রুমের পাশে নারায়ণ চন্দ্র ঘোষের (৬০) বস্তাবন্দি লাশ পাওয়া যায়। নারায়ণ চন্দ্র চাঁদপুরের বিভিন্ন দোকানে দীর্ঘদিন ধরে দই-মিষ্টি বিক্রয় করে আসছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ওই বস্তা থেকে তাঁর মৃতদেহ শনাক্ত করে। কিন্তু কে বা কারা এটি করেছে তা ছিলো অজানা। তাই ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে সিআইডি’র একটি টিম। তারই ধারাবাহিকতায় ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ মূল হোতা রাজুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ঘটনার দিন রাতে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য তিনি অভিযুক্ত রাজু চন্দ্র শীল-এর কাছে গিয়েছিলেন। এটি বিপনীবাগ বাজারের নৈশপ্রহরী ইসমাইল বকাউল দেখেছিলেন। তিনি জানান, ওই বাজারের টিপটপ সেলুনের কর্মচারী রাজু চন্দ্র শীলকে (৩০) রাত ১টায় সাটার খুলে পানি দিয়ে দোকান পরিষ্কার করতে দেখা যায়। অভিযুক্তকে তিনি জিজ্ঞেস করলে জানায় যে, ধর্মীয় উৎসব থাকার কারণে দোকান পরিষ্কার করে পুরানো জামা-কাপড় সহ অন্যান্য ময়লা জিনিসপত্র বস্তায় করে নিয়ে যাচ্ছে। বস্তাটি আসামি বিপনীবাগ মার্কেটের পশ্চিম পাশে শরীফ স্টিল ও পানির পাম্পের স্টাফ রুমের পূর্ব পাশের গলির ভিতর ফেলে রেখে পুনরায় দোকানে ফিরে আসে। এরপর আসামি পানি দিয়ে সেলুন পরিষ্কার করতে থাকে। কিন্তু সেলুন থেকে মৃতদেহ যেখানে পাওয়া গেছে সেই স্থান পর্যন্ত রক্তের দাগ দেখা যায়। পরবর্তীতে সেলুনের মালিক শ্রীকৃষ্ণকে ডেকে আনলে তিনি দোকান খুলে সেলুনের মেঝেতে রক্ত মাখা পানি দেখতে পান। এছাড়াও সেলুনের দেয়ালে, চেয়ারের কভারে, মেঝেতে, বালতির মধ্যে রক্তের দাগ দেখা যায়। 

সিআইডি’র কর্মকর্তা বলেন, এই ঘটনার পর আসামি রাজু চন্দ্র শীল পালিয়ে যায়। পরে সিআইডি’র অধিকতর তদন্তে আসামি রাজুকে সিলেট শহর থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি স্বীকার করে যে, টাকার লেনদেনকে কেন্দ্র করে সে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে।

কতো টাকার জন্য এই হত্যাকাণ্ড এমন প্রশ্নে বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, গ্রেফতার আসামির দাবি ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলো। সেই টাকার জন্য এই হত্যাকাণ্ড। কিন্তু আমরা আরও তদন্ত করছি, আসলেই কি ২০ হাজার টাকা নাকি আরও বেশি টাকা ছিলো। 

বিভি/এসএইচ/এসডি

মন্তব্য করুন: