কেটে রাখা খড় এলোমেলো করছিলো বলে শিশুকে হত্যা
সংগৃহীত ছবি
নাটোরের লালপুরে নিখোঁজের চার দিন পর এক শিশুর বস্তাবন্দী মৃতদেহের সন্ধান মিলেছে। উপজেলার দুবলিবনা বিলের একটি ধানখেত থেকে শনিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে ওই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
শিশুটির নাম নুসরাত খাতুন (৬)। সে উপজেলার আবদুলপুর গ্রামের মো. বাবুর মেয়ে। আবদুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো সে। শিশুটির ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন আছে।
শিশুটিকে হত্যা ও মৃতদেহ গুমের অভিযোগে প্রতিবেশী এক কিশোর (১৩) ও তার বাবাকে (৩৮) আটক করেছে পুলিশ।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফজলুর রহমান জানান, এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, নুসরাত গত মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পাশ থেকে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে তার বাবা মঙ্গলবার রাতে লালপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। শুক্রবার গভীর রাতে নাটোরের এক আইনজীবী পুলিশকে ফোন করে জানান, নুসরাতকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারী এক কিশোর। ওই কিশোরের বাবা গতকাল রাতে তাঁর কাছে এই হত্যাকাণ্ডের কথা জানিয়ে আইনি সহায়তার জন্য এসেছিলেন। এরপর লালপুর থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই কিশোর ও তার বাবাকে আটক করে। তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দুবলিবনা বিলের একটি ধানখেত থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় নুসরাত-এর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
আটক কিশোর এলাকাবাসী ও পুলিশের সামনে শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। সে জানায়, মঙ্গলবার সে বাড়িতে গবাদি পশুর জন্য খড় কাটার সময় নুসরাত সেখানে গিয়ে খড় এলোমেলো করছিলো। বিরক্ত হয়ে সে হাঁসুয়ার উল্টো দিক দিয়ে তার ঘাড়ে আঘাত করে। এতে নুসরাত মারা যায়। হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওই কিশোর নুসরাত-এর মৃতদেহ বাড়ির পরিত্যক্ত শৌচাগারের গর্তে ফেলে রাখে। শুক্রবার সন্ধ্যায় গন্ধ ছড়াতে শুরু করলে গভীর রাতে লাশটি বস্তায় পুরে দুবলিবনা বিলের একটি ধানখেতে ফেলে আসা হয়।
শুক্রবার রাতে ওই কিশোরের বাবা নাটোর শহরের ওই আইনজীবীর কাছে গিয়ে ঘটনাটি জানান এবং আইনি পরামর্শ চান। আইনজীবী বিষয়টি লালপুর থানাকে জানালে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছেন নিহত শিশুর বাবা মো. বাবু।
বিভি/এসডি
মন্তব্য করুন: