• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

ইয়াবার টাকায় ঢাকায় নুরুলের পাঁচ বাড়ি, আছে দামী গাড়িও

প্রকাশিত: ২২:০০, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩

ফন্ট সাইজ
ইয়াবার টাকায় ঢাকায় নুরুলের পাঁচ বাড়ি, আছে দামী গাড়িও

বিলাসবহুল বাড়ি ও নুরুল ইসলাম

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিংয়ের এই বিলাশবহুল বাড়িটির মালিক নুরুল ইসলাম। অভিযোগ রয়েছে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক বিক্রির টাকায় গড়া এই চাকচিক্যময় বাড়িটির মালিক মাত্র ১০ বছরে গড়েছেন আরও বেশ কয়েকটি বাড়ি, কিনেছেন প্লট ও দামী গাড়ি। অভাব অনটনে বেড়ে ওঠা নুরুল এখন চড়েন দামী ব্র্যান্ডের গাড়িতে। মালিক হয়েছেন প্রায় সাড়ে চারশ কোটি টাকার। 

ভোলার এই বাসিন্দা ২০০১ সালে কক্সবাজারের টেকনাফ বন্দরে দৈনিক ১৩০ টাকা বেতনে কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি শুরু করেন। ৮ বছর পর ২০০৯ সালে তিনি মেসার্স আল নাহিন এন্টারপ্রাইজ, মিফতাহুল এন্টারপ্রাইজ ও আলফা এন্টারপ্রাইজসহ নামে বেনামে গড়ে তোলেন একাধিক আমদানি রপ্তানী প্রতিষ্ঠান। বাস্তবে এসব প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব মেলেনি। তবে কাগুজে এইসব প্রতিষ্ঠানের আড়ালে মূলত মাদকের কারবার করে সম্পদের পাহাড় গড়েন তিনি। মূলত মাদক ব্যবসার টাকাকে হালাল করতেই এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন, সেই প্রমান পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডি।

রাজধানীর নবোদয় হাউজিংয়ে বিলাশবহুল বাড়িটি ছাড়াও মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যানের ৪ নম্বর রোডের ডি ব্লকের ৩৫ ও ৬৬টি নম্বর হোল্ডিংয়ের প্লটটিও তার। ৩৫ নম্বর হোল্ডিংয়ে ২৮টি দোকান দিয়ে আলকা মার্কেট স্থাপন করেছেন। এছাড়াও একই এলাকার চন্দ্রিমা মডেল টাউনের ৭ নম্বর রোডের বি ব্লকের ১০ নম্বর বাড়িটিও তার। আদাবর নবীনগর হাউজিং এলাকার ৮ নম্বর রোডের ৬৮/৭০ নম্বর আধা পাকা আরও একটি বাড়ি রয়েছে নুরুলের। এসব বাড়ি থেকে মাসে কয়েক লাখ টাকা ভাড়া তোলেন তিনি। 

সিআইডির পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান বাংলাভিশনকে বলেন, ২০২১ সালে এসব অপকর্মের অপরাধে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। কয়েকমাস জেলের থাকার পর জামিনে বের হন তিনি। সেসময় র‌্যাব জানায়- রাজধানীতে নুরুলের রয়েছে ৬টি বাড়ি ও ১৩টি প্লট। এর বাইরে সাভার, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে আছে আরও ৩৭টি প্লট, জমি ও বাগানবাড়ি। এসব সম্পদ গড়েছেন মাত্র ১০ বছরে। সেসময় নুরুলের অপকর্মের অধিকতর তদন্তে নামে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডি। এক বছরের দীর্ঘ তদন্ত শেষে সম্প্রতি প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত কর্মকর্তা। সেই সঙ্গে তার তিনটি ব্যাংক একাউন্ট ফ্রিজ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এসব অভিযোগের বিষয়ে নুরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলতে তার বাসায় গেলেও তিনি ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কথা বলতে রাজি হননি। উল্টো বাসায় যেন সাংবাদিক প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বাড়ির গেইটে।

মাত্র ১০ বছরে নুরুলের আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বাংলাভিশনকে বলেন, দ্রুত বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত।

এই ধরণের ঘটনায় অপরাধীদের শাস্তির আওতায় এনে দেশের সম্পদ জনগনের কল্যানে ব্যয় করার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষেরা।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: