• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

জামাই আরাভের বিচার চাইলেন কালাম

আরাভের প্রলোভনে একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে পাগলপ্রায় শ্বশুর

তুহিন আরন্য, মেহেরপুর

প্রকাশিত: ১৯:৪৫, ২১ মার্চ ২০২৩

আপডেট: ২০:০০, ২১ মার্চ ২০২৩

ফন্ট সাইজ
আরাভের প্রলোভনে একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে পাগলপ্রায় শ্বশুর

আরাভ খান ও তার সাবেক স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া

এবার দুবাইয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভের বিচার চাইলেন তার শ্বশুর আবুল কালাম। মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার গাঁড়াডোব পুকুরপাড়ার বাসিন্দা আবুল কালাম দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভের শ্বশুর। বললেন- আমরা তাকে আপন নামেই চিনতাম। জানতাম ঢাকায় আপন জুয়েলার্স এর মালিক সে। এলাকায় যখন আসতো দামী গাড়িতে চড়ে। তার চলাফেরা পোশাক ছিল খুবই বিলাসবহুল। হাতে, গলায় সব সময় ভারী স্বর্ণের শিকল চেইন ব্যবহার করতো। কিছুদিনের মাথায় শশুরবাড়ি বেড়াতে এসে আপন মামা শ্বশুরের ডিসকোভারী মোটরসাইকেল চুরী করে করে নিয়ে যায়। এর আগে বুঝার উপায় ছিলনা আরাব এতবড় সন্ত্রাসী ও খারাপ প্রকৃতির ছেলে। আরাব আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে প্রলোভন দিয়ে বিয়ে করে শুধু মেয়েরই ক্ষতি করেনি, একমাত্র মেয়ে কেয়াকে নিয়ে আমাদেরও স্বপ্ন স্বাদ সব মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। আমি এই আরাভের বিচার চাই।

আরাভের বিচার চাইলেন তার শ্বশুর আবুল কালাম
আবুল কালাম জানান, এসএসসি পাশ করার পর মেয়ে ঢাকায় মেডিকেলে পড়তে যায়। সেখানে আরাভের সাথে মেয়ের পরিচয় হয়। দুজনই সুন্দর তাই সম্পর্ক তৈরী হলে আমার অমতেই মেয়ে বিয়ে করে। বিয়ের পর কয়েকরাব তারা মেহেরপুর বেড়াতে এসেছে। শহরে শামসুজ্জোহা পার্কের সামনে পশ্চিমের গলিপথে একটা বাড়িতে আরাভ মেয়েকে নিয়ে ৩/৪ মাস ভাড়া বাড়িতে ছিল বলেও জানান তিনি। তখন শহরে স্ত্রীকে একটা পার্লার করে দেবে বলেছিল।


আবুল কালাম জানান, তারপর মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় চলে যাওয়ার কিছুদিন পর পুলিশ হত্যা মামলা ঘটনা ঘটলে আরাব এবং আমার মেয়ে আসামী হয়। তখন আরাব পলাতক হয়ে যায়। মেয়ে ওই মামলায় গ্রেপ্তার হলে দেড়বছর জেলে তাকার পর জামিনে মুক্তি পায়। মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরলে আমরা কেয়াকে আরাভের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার পরামর্শ দিয়ে মেয়েকে বাড়িতে রাখি। তখন আরাভ হুমকী দিয়ে বলে মেয়েকে তার কাছে যেতে না দিলে তাদের খুন করবে। তখন মেয়ে আবার আরাভের কাছে চলে যায়।
পরে কেয়া আরাভকে ছেড়ে মালয়েশিয়া চলে গিয়ে সেখানে দ্বিতীয় বিয়ে করে সংসার করছে বলেও জানান আবুল কালাম। এই ঘটনার মধ্যদিয়ে আরাভ শুধু আমার মেয়ের জীবনকেই শেষ করেনি মেয়েকে তাদের জীবন থেকেও কেড়ে নিয়েছে বলেই কাঁদতে থাকেন আবুল কালাম। আরাভ এতবড় প্রতারক সেটা আগে জানা ছিল না।

মন্তব্য করুন: