• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

আবার আসছে ভয়াবহ এক নতুন ভাইরাস!

প্রকাশিত: ১৭:০০, ৩০ মে ২০২৪

ফন্ট সাইজ
আবার আসছে ভয়াবহ এক নতুন ভাইরাস!

এবার নতুন এক ভাইরাসের ভয়ে কাঁপছে যুক্তরাষ্ট্র। করোনার ভয় কাটতে না কাটতে এবার এক জম্বি ভাইরাসের কারণে ভাজ পড়েছে গবেষকদের কপালে, যে ভাইরাসের এখন পর্যন্ত নেই কোন প্রতিকার। 

সাধারণ হরিণ, রেইন ডিয়ার ও আমেরিকান হরিণসহো আমেরিকায় হরিণের বেশকিছু জাতের মধ্যে দেখা গেছে এই অদ্ভূত জম্বি ভাইরাস! এই ভাইরাস সরাসরি আঘাত করে পশুর মস্তিষ্কে। ধীরে ধীরে ঝিমিয়ে পড়ে আক্রান্ত পশু। চোখেও ঝাপসা দেখা শুরু করে। আর এর ফলে পশুর চোখ ধারণ করে এক অদ্ভূত ধুসর রঙ! দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ধীরে ধীরে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায় তারা। ফলে ভাইরাসটিকে প্রাণঘাতি হিসেবেই বলছেন গবেষকরা।

ধারণা করা হচ্ছে করোনার চেয়েও শক্তিশালী ও দ্রুত গতিতে ছড়াতে পারে এই ভাইরাস। যার নমুনা ইতমধ্যেই দেখছে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু অঞ্চল। জম্বি ডিয়ার ডিজিস নামে পরিচয় লাভ করা এই রোগের আনুষ্ঠানিক নাম হচ্ছে ক্রনিক ওয়েস্টিং ডিজিস বা সংক্ষেপে সিডাব্লুডি। সংক্রামক এই রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই ভাইরাস কি মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পরার সম্ভাবনা আছে? এমন প্রশ্নে ভীত এখন অনেকেই।

তবে বিবিসিতে প্রকাশিত এক সংবাদে বলা হচ্ছে, বিজ্ঞানীরা বলছেন প্রাথমিকভাবে এই রোগ কোন ব্যাক্টেরিয়া বা ভাইরাস দ্বারা ছড়াচ্ছে না। মূলত কোষে থাকা প্রোটিন কণার অস্বাভাবিক বিভাজনের কারণে সূত্রপাত হচ্ছে এই রোগের। যদিও এখন পর্যন্ত এই প্রোটিন কণার অস্বাভাবিক বিভাজনের কারণ নিশ্চিত হতে পারেননি গবেষকরা।

এ রোগে মানুষের আক্রান্ত হওয়ার খবর এখনও পাওয়া যায়নি। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে দুইজন মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বলা হচ্ছে এই দুইজন সিডাব্লুডি আক্রান্ত হরিণের মাংস খাওয়ার পরই অসুস্থ হন ও পরে মৃত্যু বরণ করেন। যদিও বিজ্ঞানীরা এখনই কোন উপসংহার টানতে চান না যে আদৌ এই রোগ মানুষের মধ্যের ছড়াবে কি না। অন্যদিকে বেশ কিছু গবেষক ইতমধ্যে সতর্ক করেছেন যে হয়ত দ্রুত মানুষের মধ্যেও ছড়াতে পারে এই ব্যাধি।

২০২৩ সালে প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের মন্টেনা অঞ্চলে এই রোগ সনাক্ত করা হয়। ইয়োলো স্টোন ন্যাশনাল পার্কে এক মৃত হরিণের শরীর পরীক্ষা করতে গিয়ে এই রোগের অস্তিত্ব পান বিজ্ঞানীরা। এর পর থেকেই গবেষকদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। স্নায়োবিক এই ব্যাধির প্রাথমিক লক্ষণ গুলো হচ্ছে হঠাৎ করে অনিদ্রা, হ্যালুসিনেশন, হাটা-চলায় অস্বাভাবিকতা দ্রুত ওজন কমে যাওয়া শরীরের বিভিন্ন অংশে ফুলে যাওয়া। 

বেশিরভাগ গবেষক এখনও মানুষের শরীরে এই রোগ আসা নিয়া চিন্তিত না হলেও সতর্ক থাকতে বলছেন তারা। আরও গবেষণা ও পর্যবেক্ষণের পর হয়ত নিশ্চিত করে বলা যেতে পারে কতটা ভয়াবহ হতে চলেছে এই জম্বি ভাইরাস।

বিভি/

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2