হামলা নয়, কূটনৈতিক তৎপরতার দিকে এগোচ্ছে ইসরায়েল (ভিডিও)
এমন হামলা যেখানে মারা যায়নি কোনো মানুষ, হয়নি বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি। কিন্তু তারপরও বিশ্ব মোড়লদের চোখের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ইরান। ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে এখন আরও বেশি নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে যাচ্ছে দেশটি।
প্রতিশোধের নেশায় মত্ত হয়ে আছে ইসরায়েল। দেশটি প্রতিশোধ নেওয়ার উপায় খুঁজছে, সাজাচ্ছে নানা পরিকল্পনা। ইসরায়েল অবশ্য আগেই ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এরই মধ্যে ৩০টিরও বেশি দেশের সাথে যোগাযোগ করেছে ইসরায়েল।
ইসরায়েল ইরানকে লক্ষ্য করে বড় কোনো হামলা না চালালে বিভিন্ন রকম নিষেধাজ্ঞাই হতে পারে তাদের অস্ত্র। আর ইরানের হামলার পর এখন সেদিকেই বেশি নজর দিছে ইসরায়েলের বন্ধু রাষ্ট্ররা।
ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এ বিষয়ে মার্কিন অর্থমন্ত্রী ইয়েলেন বলেছেন, "নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমি পুরোপুরি আশাবাদী। আমরা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞার ব্যবস্থা নেবো। আমরা আমাদের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আগে থেকে বলি না। তবে ইরানের সন্ত্রাসী অর্থায়ন ব্যাহত করার উপায় আমাদের জানা আছে। দরকার পরলে আমরা ইরানের তেল রপ্তানির ক্ষেত্রকেও টার্গেট করতে পারি।"
পিছিয়ে নেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইরানের বিরুদ্ধে কেমন ব্যবস্থা আসতে পারে তার ইঙ্গিত দিয়ে ইইউর শীর্ষ কূটনীতিক জোসেফ বোরেল বলেছেন"ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের মূল অংশীদারদের সাথে আমরা যোগাযোগ বাড়াবো। ইরানের বিরুদ্ধে বিধিনিষেধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলছেন অনেকে। আমি নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত ইরান যে ইউক্রেনে আক্রমণ করার জন্য রাশিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করছে তার প্রমাণ নেই। তবে আমরা এই সম্ভাবনাগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কাজ করবো।"
ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে তালিকাভুক্ত করা দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম। গত বছর অক্টোবর থেকে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি লক্ষ্য করে নতুন কয়েক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া ইরান যাতে বিভিন্ন গোষ্ঠীকে অর্থ সাহায্য দিতে না পেরে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সে লক্ষ্যেও কাজ করে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন।
সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলের হামলায় দুই র্শীষ কমান্ডারসহ ৭ জন নিহত হওয়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবে শনিবার ইসরায়েলে ড্রোন, ক্রুজ ও ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। যদিও তেহরানের হামলাটি প্রতীকী ছিলো বলে যে খবর রটেছে সেটা সত্য নয় বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।
বিভি/এমএফআর
মন্তব্য করুন: