তেহরানে ‘ঈদুল গাদিরে’ ইসরাইলি হামলার বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদ

ছবি: সংগৃহীত
ইরানের রাজধানী তেহরানে ‘ঈদুল গাদির’ উপলক্ষে এক বিশাল জাতীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গত শনিবার (১৪ জুন) হাজারো মানুষ এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তবে এবারের গাদির উদযাপনের আবহ ছিল ব্যতিক্রম। দিনটি রূপ নেয় শোক ও প্রতিবাদের মিছিলে, কারণ একদিন আগেই ইসরাইলের ধারাবাহিক বিমান হামলায় ইরানের সামরিক শীর্ষ নেতৃত্ব নিহত হন।
ইসরাইলের হামলায় নিহত হন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি ও ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)-র প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি। পরে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি হামলার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, জায়নবাদিরা তিক্ত ও যন্ত্রণাদায়ক পরিণতির পথ বেঁছে নিয়েছে।
এদিকে শিয়া মুসলিমদের কাছে ‘ঈদুল গাদির’ একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিবস। তারা বিশ্বাস করেন, এই দিনেই ইসলাম ধর্মে নেতৃত্বের ধারাবাহিকতার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়েছিল।
শিয়া মতানুসারে, হিজরি ১০ সনে হজ পালন শেষে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) যখন মক্কা থেকে মদীনায় ফিরছিলেন, তখন গাদির খুম নামক এক স্থানে বিশাল জনসমাগমে তিনি বলেছিলেন: ‘আমি যার মাওলা, আলীও তার মাওলা।’
একে হযরত আলী (রা.)-কে ইসলামের পরবর্তী রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে নিযুক্ত করার প্রকাশ্য ঘোষণা হিসেবে গ্রহণ করেন শিয়ারা। শিয়ারা মনে করেন, এই ঘটনা দ্বারা ইমামতের সূচনা হয়। ফলে দিনটিকে তারা ‘ঈদুল গাদির’ বা ‘বেলায়েতের ঈদ’ নামে উদযাপন করে থাকেন।
বিভি/আইজে
মন্তব্য করুন: