জাপানে দক্ষ বিদেশি শ্রমশক্তি প্রয়োজন: আকিয়ামা শিনইচি
ছবি: সংগৃহীত
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সিনিয়র সহকারী মন্ত্রী আকিয়ামা শিনইচির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) টোকিওতে জাপানি মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রবাসীকল্যাণ সচিব।
আলোচনায় বাংলাদেশ ও জাপানের ঘনিষ্ঠ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন সচিব, যা গণতন্ত্র, উন্নয়ন, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের অভিন্ন মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।
এসময় আকিয়ামা শিনইচি জানান, জাপানে বর্তমানে দক্ষ বিদেশি শ্রমশক্তি প্রয়োজন।
সচিব বলেন, বাংলাদেশ গত পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে একটি গুরুত্বপূর্ণ জনশক্তি প্রেরণকারী দেশ হিসেবে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে এবং বর্তমানে বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তি জাপানের নির্মাণ, সেবা, উৎপাদন ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
তিনি প্রধান উপদেষ্টার জাপান সফরকালে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের কথা উল্লেখ করেন, যার মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে ১ লাখ বাংলাদেশি কর্মী জাপানে প্রেরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জাপানি ভাষা ও দক্ষতা প্রশিক্ষণ সমন্বয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ে একটি জাপান সেল গঠনের বিষয়টি আলোচনায় তুলে ধরেন।
সচিব বাংলাদেশের মধ্যে স্পেসিফায়েড স্কিল্ড ওয়ার্কার ফিল্ড টেস্ট চালু করার জন্য জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং খাদ্য ও পানীয় উৎপাদন, খাদ্য পরিবেশন, শিল্পজাত পণ্য উৎপাদন, মোটরগাড়ি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, বিমান পরিসেবা, এবং জাহাজ নির্মাণ শিল্পসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও পরীক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণের অনুরোধ জানান। তিনি স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ শিল্পখাতেও অধিকতর সহযোগিতার প্রস্তাব দেন এবং জাপানকে চিকিৎসা প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশ থেকে উচ্চমানের ওষুধ আমদানির আহ্বান জানান।
সহকারী মন্ত্রী আকিয়ামা বাংলাদেশের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, জাপানে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে দক্ষ বিদেশি শ্রমশক্তির প্রয়োজন ক্রমেই বাড়ছে। তিনি এ বিষয়ে অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে সমন্বয় জোরদারের আহ্বান জানান।
এ সময় জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী উপস্থিত ছিলেন।
বিভি/এআই




মন্তব্য করুন: