• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫

আজ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস

প্রকাশিত: ০৮:৩৮, ৭ নভেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
আজ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস

ছবি: সংগৃহীত

ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর আজ। অস্থির এক রাজনৈতিক ও সামরিক পরিস্থিতিতে ১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহী- জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন, তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান। শেষ হয় অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের পালা। সব অনিশ্চয়তা দূর করে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। 

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হবার পর থেকেই দেশে তৈরি হয় অস্থিরতা আর অনিশ্চয়তা। রাজনৈতিক পালাবদলের পর নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রাষ্ট্র পরিচালনায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করে। চলে অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থান। ৩ নভেম্বর ক্ষমতা দখল করেন ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ। আটক করা হয় সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে।

সেনাবাহিনীতেও টালমাটাল অবস্থার এক পর্যায়ে গৃহবন্দি করা হয় তৎকালীন সেনা প্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে। সাত নভেম্বর সিপাহী জনতা মুক্ত করেন, সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে। নিহত হন ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ এবং কর্নেল এটিএম হায়দারসহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা। এই ঘটনার পরই মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য বীর উত্তম খেতাব পাওয়া সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্স প্রধান জিয়াউর রহমানকে দেশের দায়িত্বভার নিতে হয়। ক্ষমতার মোহ নয়, জনপ্রিয়তা আর গ্রহণযোগ্যতাই দৃশ্যপটে নিয়ে আসে জিয়াউর রহমানকে। 

অল্প সময়ের মধ্যেই সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন জিয়াউর রহমান। তার হাত ধরেই গণতন্ত্রের নব যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশে । পুনঃপ্রবর্তন করেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের। তার ১৯ দফা কর্মসূচিতে সাবলম্বী হতে শুরু করে দেশ। গতি পায় অর্থনীতি। আন্তর্জাতিক বলয়ে বাড়তে থাকে বাংলাদেশের বন্ধুর সংখ্যা। 

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল স্বাধীনতা সুরক্ষা ও হারানো গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে। এখনো দেশের মানুষ ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে এক কাতারে দাঁড়িয়েছে।

৭ নভেম্বরের সঠিক ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরতে এবং নতুন প্রজন্মকে জানানের আহ্বান জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।

 

বিভি/এআই

মন্তব্য করুন: