হঠাৎ ভিন্ন মত, নতুন পে কমিশনের সিদ্ধান্ত নেবে না এ সরকার
অন্তর্বর্তী সরকারের সময় গঠিত হয়েছে জাতীয় বেতন কমিশন। নতুন পে কমিশনের জন্য ইতিমধ্যে বেতন কমিশন বিভিন্ন সুপারিশও গঠন করেছে। তবে নতুন পে স্কেল নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার সিদ্ধান্ত নেবে না। নির্বাচিত সরকারের জন্য ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে পে স্কেলের সিদ্ধান্ত।
রবিবার (৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক এবং অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘একটা কমিটি করেছি ট্যাক্সের ব্যাপারে কিছু ইকোনমিস্ট নিয়ে। তারা ইন্ডিপেন্ডেন্ট, কিছু রিকমেন্ডেশন দেবে। একটা পে কমিশনের ব্যাপার আছে। সেটা আমরা এখন কিছু বলতে পারি না। ওটা দেখা যাক কতদূর যায়। আগামী সরকার হয়তো সেটা এসে করতে পারে। আমরা যেহেতু ইনিশিয়েট করে ফেলেছি।’
দেশের সার্বিক দিকের অগ্রগতি ভালো জানিয়ে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি কমেছে, কিন্তু বাসা ভাড়া ও পরিবহন ব্যয় বেড়েছে। আমরা চেষ্টা করছি পণ্যের দাম সহনীয় মাত্রায় আনতে। তবে, সার্বিকভাবে পণ্যের দাম স্বাভাবিক আছে। চালের দামও সহনীয় রয়েছে।
আইএমএফ-এর ঋণের কিস্তি প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আইএমএফ-এর সঙ্গে কথা চলছে কিস্তি নিয়ে। আমাদের কাছে যেসব তথ্য আছে, তা আগামী সরকারের কাছে প্যাকেজ আকারে দেওয়া হবে।
তবে, ঋণের ষষ্ঠ কিস্তির অর্থ অন্তর্বর্তী সরকারের সময় আসবে না। রাজনৈতিক সরকারের কার্যক্রম দেখে কিস্তি ছাড় করবে বা সিদ্ধান্ত নেবে প্রতিষ্ঠানটি।
তিনি আরো বলেন, অপরিশোধিত তেল আমদানির জন্য চেষ্টা করছে সরকার। সার ও কৃষিতে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করা হচ্ছে। আজকের ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে বিভিন্ন দেশ থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন সার ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, এ বছর আমন মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ৭ লাখ মেট্রিক টন ধান ও চাল কিনবে সরকার। এর মধ্যে ৫০ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন ধান ও ৬ লাখ টন সেদ্ধ চাল ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রতি কেজি আমন ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৪ টাকা আর সেদ্ধ চাল কেনা হবে ৫০ টাকা এবং আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি দরে। ধান ও চালের এ দাম গত বছরের তুলনায় কেজি প্রতি ৪ টাকা বেশি।
এই ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ২০ নভেম্বর। ধান-চাল সংগ্রহ আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
বিভি/এজেড




মন্তব্য করুন: