• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

১৩ বছরে কত টাকা বেতন-বোনাস নিয়েছেন ওয়াসার এমডি জানতে চান হাইকোর্ট

প্রকাশিত: ২০:১৬, ১৭ আগস্ট ২০২২

আপডেট: ২০:২৩, ১৭ আগস্ট ২০২২

ফন্ট সাইজ
১৩ বছরে কত টাকা বেতন-বোনাস নিয়েছেন ওয়াসার এমডি জানতে চান হাইকোর্ট

গত ১৩ বছরে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে তাকসিম এ খান কী পরিমাণ বেতন–বোনাস ও টিএডিএসহ অন্য সুবিধাদি গ্রহণ করেছেন সে তথ্য জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। ওই সব তথ্য প্রতিবেদন আকারে ৬০ দিনের মধ্যে ঢাকা ওয়াসা বোর্ড চেয়ারম্যানকে আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (১৭ আগস্ট) রুলসহ এ আদেশ দেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সার্কুলার ও সার্ভিস (বেতন ও সুবিধাদি) অর্ডার লঙ্ঘন করে ওয়াসার এমডিকে অযৌক্তিক ও উচ্চ বেতন দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কনজ্যুমার অ্যাসেসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে স্থপতি মোবশ্বের হোসেন গত মাসে ওই রিট করেন। একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ‘পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পানির দাম ও এমডির বেতন’ শিরোনামে প্রতিবেদন এবং ‘ভিক্ষায় চলা’ ওয়াসার এমডির বেতন কেন সোয়া ছয় লাখ টাকা’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি নিবন্ধ রিটে সংযুক্ত করা হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়। জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সংবাদমাধ্যমকে জানান, ঢাকা ওয়াসার এমডিকে অপসারণে পদক্ষেপ নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। বিগত দিনে তাকে দেওয়া মাত্রারিক্ত বেতন কেন তার কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করা হবে না এবং তাকে অপসারণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না—তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকা ওয়াসা বোর্ড, ঢাকা ওয়াসার চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ঢাকা ওয়াসার সেবা নিয়ে, পানির মান নিয়ে অনেক অভিযোগ থাকলে গত ১৩ বছরে ১৪ বার পানির দাম বাড়িয়েছে ঢাকা ওয়াসা। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ানো হয়েছে সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের বেতন। সর্বশেষ করোনা মহামারির মধ্যে ঢাকা ওয়াসার এমডির বেতন বাড়ানো হয়েছে পৌনে ২ লাখ টাকা। ফলে তার মাসিক বেতন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। গত ১২ বছরে তাকসিম এ খানের মাসিক বেতন বেড়েছে ৪২১ শতাংশ।

তাকসিম এ খান ওয়াসার এমডি হিসেবে ৩ বছরের জন্য চুক্তিতে নিয়োগ পান ২০০৯ সালের অক্টোবরে। সে সময় তার মোট মাসিক বেতন ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এর মধ্যে মূল বেতন ছিল ৬০ হাজার টাকা। অন্য খাতের মধ্যে বাড়িভাড়া ২০ হাজার, উৎসব ভাতা ১০ হাজার, মেডিকেল ও বিনোদন ভাতা ৪ হাজার এবং বিশেষ ভাতা ২২ হাজার টাকা। তার সঙ্গে চুক্তিতে বলা ছিল, বেতন বাবদ প্রদেয় আয়কর তাকসিমকেই দিতে হবে। এরপর ২০১০ সালে ওয়াসার এমডির বেতন ২ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তিন বছরের চুক্তি থাকলেও ১৩ বছর পর এসে বহাল তবিয়তে আছেন তাকসিম এ খান। এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ধাপে ধাপে বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে।

বিভি/এনএ

মন্তব্য করুন: