মেধায় বিশ্বমানের ওপরে বাংলাদেশ : মোস্তাফা জব্বার
মেধায় বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বমানের উপর বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ঔপনিবেসিকতা থেকে বেরিয়ে প্রযুক্তি নির্ভর আনন্দময় নিজস্ব শিক্ষা ব্যবস্থা চালুরও তাগিদ দেন তিনি। মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারী) রাজধানীর মগবাজারে বিটিসিএল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাজিতক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম দেশ হিসেবে পরিণত করতে শিক্ষার্থীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা অত্যাবশ্যকীয়। আমাদের উচিত আমাদের সন্তানরা যে বৃটিশ পদ্ধতিতে পড়ছে তা থেকে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের লেখাপড়ার পদ্ধতিতে ঔপনিবেশিক আমলের গোলামীর পদ্ধতি থেকে স্বাধীন করা। পাঠদান আনন্দময় করা ।
মন্ত্রী আরো বলেন, কৃষি ভিত্তিক বাংলাদেশ এখন পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের দিকে যাচ্ছে। এবারের ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলায় স্কুল-মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণদের যে উদ্ভাবন আমরা দেখেছি তাতে আমার কলার উঁচু করার মতো অবস্থা। কেননা, গবেষণা ও উন্নয়নে বছরে ১৮ বিলিয়ন ডলার খরচ করা একটি কোম্পানির সফ্টওয়্যার যদি মেড ইন বাংলাদেশ হয়, তাহলে বুঝতে হবে আমাদের সন্তারদের যে মেধা আছে, সেটা বিশ্বমানের ওপরে। বিশ্বমানের চেয়ে বেশি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ। এসময় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলা ভাষার পাশাপাশি অবলুপ্ত ভাষার প্রাণ ফিরিয়ে আনতে অবদান রাখছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাভাষার মধুরতার কথা তুলে ধরে অনুষ্ঠানের সভাপতি আবু হেনা মোরশেদ জামানের বললেন, ভাষা কেবল সাংস্কৃতিক বিষয় নয়, ভাষা প্রযুক্তি দেয় স্বাচ্ছন্দ্য এবং অর্থৈনতিক সমৃদ্ধি। ভাষার সামাজিক প্রযুক্তি শক্তি রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও জনযুদ্ধে রূপ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তেব্য বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার ভাষা আন্দলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা বিবৃত করতে গিয়ে তুলে ধরেন ওই সময়ের ইন্টিলিজেন্স রিপোর্ট।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছর ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের বিষয় উল্লেখ করা হতো না। ভাষা আন্দোলন কেবল ভাষার জন্য নয়, এটি বাঙ্গালির সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন উল্লেখ করে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ভাষার জন্য এমন আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত পৃথিবীর আর কোথাও নেই। ১৯৫২ সালে যারা আত্মহুতি দিয়েছেন সেই সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯৪৮ সাল থাকে ভাষা আন্দোলনের বীজ বপন হয়।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রফিকুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আসাদুজ্জামান চৌধুরী।
বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলন অভীন্ন। বাংলাকে আন্তর্জাতিক পরিসরে নিয়ে যেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার জন্য প্রবাসী বাঙ্গালীদের অবদান অনস্বীকার্য। অনুষ্ঠান শেষে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
বিভি/ এসআই
মন্তব্য করুন: