আন্দোলনের বাইরে অভিনব কর্মসূচি বিএনপির
তিন কোটি তরুণ ভোটারসহ প্রায় ১২ কোটি ভোটার নিয়ে গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ সরকারে বসলেও বৃহৎ একটি অংশ ভোট দিতে কেন্দ্রে যায়নি। এর ফলে বিএনপির রাজনৈতিক ভাবনার জায়াগায় এসেছে পরিবর্তন।
এবার রাজপথের বাইরে নতুন নতুন চিন্তা এবং কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিএনপি। তরুণদের কাছে টানতে প্রতিটি বিভাগে আয়োজন করা হয়েছে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট। সম্ভাবনাময় তরুণদের সম্পৃক্ত করতে খেলার মাঠে গণতন্ত্র, দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে জনমত গঠনের পাশাপাশি দেশে জিয়া পরিবারের অবদান তুলে ধরা হচ্ছে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেলকে আহ্বায়ক ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক, সাফ জয়ী খেলোয়ার ও টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আমিনুল হককে সদস্য সচিব করা হয়েছে। জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অবসর প্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বগুড়ায় এই টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করেন।
আয়োজকরা জানান, মানুষের কাছে গিয়ে তাদের আবেগের জায়গায় নাড়া দেয়া এবং রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করবে কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট।
অন্যদিকে তরুণদের চিন্তার জগতে ধাক্কা দিতে বিএনপি মিডিয়া সেলের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় আয়োজন করা হচ্ছে সেমিনার। যার শিরোনাম করা হয়েছে আজকের প্রজন্মকে নিয়ে “দেশপ্রেম বোঝাপড়ার গল্প” শীর্ষক কর্মশালা।
হঠাৎ করে এই ধরণের কর্মশালার আয়োজন কেন- জানতে চাইলে দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে দেশ স্বাধীনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। দেশের সংকট সমাধানে একটি মেধাভিত্তিক আন্দোলনে তরুণদের সম্পৃক্ত করতেই এই উদ্যোগ।
বিএনপির সাংস্কৃতিক কর্মীদেরও কাজে সম্পৃক্ত করছে বিএনপি। তারুণ্যের সমাবেশসহ বেশ কয়েকটি জনসভায় তাদের মঞ্চ মাতাতে দেখা গেছে। তারা বলছেন, গান, কবিতা এবং নাটকের মাধ্যমে ক্রিয়েটিভ কাজ দিয়ে বিএনপিকে মানুষের হৃদয়ে পৌছে দিতে চান।
সাংস্কৃতিক কর্মীরা বলছেন, একটি গান, একটি কবিতা মানুষের হৃদয়কে নাড়িয়ে দিতে পারে। সাংস্কৃতিক আন্দোলন মানসিক ভিত তৈরি করতে বড় ভূমিকা রাখে। এর প্রভাবেই রাজনৈতিক আন্দোলন সফল হয়।
রাজনিতক বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন নানামূখী কর্মতৎপরতা দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলবে। একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠিকে একত্র করে আন্দোলনে ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে।
বিভি/এনএম
মন্তব্য করুন: