• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

‘চা-নাস্তা খাওয়ানোর সংলাপ না করে; বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করুন’

প্রকাশিত: ১১:৫৬, ২ জুন ২০২৫

আপডেট: ১১:৫৭, ২ জুন ২০২৫

ফন্ট সাইজ
‘চা-নাস্তা খাওয়ানোর সংলাপ না করে; বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করুন’

ছবি: রাশেদ খাঁন

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেছেন, চা-নাস্তা খাওয়ানোর সংলাপ না করে; বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করুন।

রবিবার (১ জুন) আওয়ামীলীগের দোসর জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ, জিএম কাদেরসহ ফ্যাসিবাদের সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবিতে এবং বরিশালে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের উপর জাতীয় পার্টির হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে একথা বলেন তিনি। 

গণঅধিকার পরিষদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। বিজয়নগর পানির টাঙ্কি, আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে পুরানা পল্টন মোড় ঘুরে জাতীয় পার্টির অফিসের সামনে থেকে প্রদক্ষিণ করে আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে এসে মিছিল শেষ হয়।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. রাশেদ খাঁন বলেন, শেখ হাসিনার বিচার হলে জিএম কাদেরের কেন বিচার হবে না? আওয়ামী লীগের মতো জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন স্থগিত করতে হবে।

তিনি বলেন, এই দেশের গণতন্ত্র হত্যার জন্য হাসিনা যেভাবে দায়ী, ঠিক একইভাবে জিএম কাদেরও দায়ী। জিএম কাদেরের নামে মামলা হলেও, তাকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? উপদেষ্টা পরিষদ বা সরকারের কে জাতীয় পার্টিকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে? অন্যথায় কেন জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হচ্ছে না, মিছিল মিটিংয়ে বাধা দেওয়া হচ্ছে না? জাতীয় পার্টির মিছিল মিটিংয়ে আওয়ামীলীগ যুক্ত হচ্ছে। ইতোপূর্বে জিএম কাদের বলেছে, আওয়ামী লীগকে দূরে রেখে নির্বাচন করা যাবেনা,  আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করা যাবে না। এখান থেকে প্রমাণিত হয়, জিএম কাদের যে হাসিনার এক নম্বর দোসর। হাসিনা দিল্লি পালিয়েছে, জিএম কাদের কিভাবে এখনো জেলের বাইরে? বরিশালে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের হামলার প্রেক্ষিতে মামলা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেফতার করুন। অন্যথায় ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের আমরা থামাতে পারবো না। এর দায়দায়িত্ব কিন্তু আপনাদের নিতে হবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জিএম কাদেরকে গ্রেফতার করুন, অন্যথায় সারাদেশে আন্দোলন শুরু হবে। 

তিনি আরও বলেন, চা-নাস্তা খাওয়ানোর সংলাপ করবেন না। সংলাপ ফলপ্রসূ করতে সিদ্ধান্ত জানান। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করুন। আমাদের দাবি, আগামী সেপ্টেম্বরে তফসিল ও ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করুন। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন একে-অপরের পরিপূরক। কোনটাকে কোনটার মুখোমুখি করে ধোঁয়াশা করবেন না। আগামীকাল সংলাপ থেকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন। নির্বাচনের আগে অবশ্যই ঐক্যমতের ভিত্তিতে সংস্কার ও গণহত্যার পথনকশা প্রকাশ করুন।

গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান বলেন, জাতীয় পার্টি আওয়ামীলীগের অন্যতম প্রধান দোষর। আ'লীগ নিষিদ্ধ হলেও জাতীয় পার্টি এখনো বহাল তবিয়তে। আমরা খবর পেয়েছি সরকারের ৩ জন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, রেজওয়ান হাসান ও মাহফুজ আলম জাতীয় পার্টিকে টিকিয়ে রেখেছে, তারা আ'লীগকে জাতীয় পার্টির মাধ্যমে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চায়। আমরা গণঅধিকার পরিষদ পরিষ্কারভাবে বলছি, জাতীয় পার্টি আজ থেকে নিষিদ্ধ, যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানে প্রতিরোধ হবে।

দলের উচ্চতর পরিষদ সদস্য হাসান আল মামুন বলেন, ‘গত ১২ মে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন বরাবর লিখিত ভাবে জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের দাবি করা হলে নির্বাচন কমিশন কিংবা সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বিগত ২০১৪, ১৮ এবং সর্বশেষ ২৪ এর আওয়ামী ভোট ডাকাতির নির্বাচনের প্রথম সহযোগী ছিলো এই জাতীয় পার্টি। এদিকে হত্যা মামলার আসামি হওয়ার পরেও জিএম কাদের এখনো গ্রেফতার হয়নি। আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে জিএম কাদেরকে গ্রেফতার এবং জাতীয় পার্টির নিবন্ধন বাতিল করা হোক।

গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এডভোকেট নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ আবু হানিফ, আব্দুজ জাহের,মাহফুজুর রহমান খান,রবিউল হাসান, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ খান বাপ্পী প্রমুখ।

বিভি/এআই

মন্তব্য করুন: