• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

ষড়যন্ত্র রুখে দিতে জাতীয় ঐক্যকে ইস্পাত কঠিন করতে হবে: অধ্যাপক নার্গিস

রাজেক জাহাঙ্গীর, যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:৩৪, ৮ নভেম্বর ২০২৫

আপডেট: ২১:৩৪, ৮ নভেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
ষড়যন্ত্র রুখে দিতে জাতীয় ঐক্যকে ইস্পাত কঠিন করতে হবে: অধ্যাপক নার্গিস

বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, যখনই দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তখনই দেশবিরোধী সকল অপশক্তির পরাজয় হয়েছে। ১৯৭৫ সালে ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতা এক হয়ে দেশ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেছিল। আবার চব্বিশে ছাত্র-জনতা সংহতির মাধ্যমে রাজপথে নেমে ফ্যাসিবাদের পতনকে নিশ্চিত করেছে। 

দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাচনের জন্য আমরা লড়াই করেছি। যাতে করে জনগণ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কায়েম করতে পারে। যে রাষ্ট্র আমাদের সকল অধিকার নিশ্চিত করতে পারবে। তিনি বলেন,জনগণের বহু কাঙ্খিত প্রত্যাশার নির্বাচন নিয়ে আবার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এ ষড়যন্ত্র রুখে দিতে জাতীয় ঐক্যকে ইস্পাত কঠিন করতে হবে। জাতীয় ঐক্য এবং সংহতি সকল সংকট থেকে আধিপত্যবাদী শক্তির হুংকার থেকে রক্ষা করতে পারে।

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শনিবার (৮ নভেম্বর) যশোর জেলা ছাত্রদল আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। যশোর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অধ্যাপক নার্গিস বেগম আরও বলেন, একাত্তরে জনগণের মধ্যে পাক বাহিনীকে প্রতিরোধ করার চেতনা ছিল, কিন্তু সঠিক নেতৃত্ব ছিলো না। 'যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাঁপয়ে পড়ো' এমন বক্তব্যে যুদ্ধের সূচনা হয়নি। মানুষকে কেবল উত্তপ্ত করা হয়েছে, পথ দেখানো হয়নি। বিশেষ করে নাম করা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার প্রস্তুতিও আমাদের ছিল না। এমন সময়ে পাক সেনাবাহিনীর বাঙালি মেজর জিয়াউর রহমান ‘উই রিভোল্ট’ বলে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শুরু করেন। এরপর তিনি মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে নিজেই অস্ত্র কাঁধে নিয়ে রণাঙ্গণে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তার এমন ঘোষণায় দেশপ্রেমিক সমগ্র জনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। যখন সদ্য স্বাধীন দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার উপক্রম হয়, তখন ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর দেশের সিপাহী জনতা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমকত্ব রক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে তারা সেদিন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করেছিলেন। সেদিন তিনি মুক্ত হয়ে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সুরক্ষা দিয়েছিলেন। 

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওমর ফারুক।অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনীর আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন বাবুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাজিদুর রহমান সাগর, ছাত্রদল নেতা সুমন আহমেদ, পিকুল হোসেন, জাহিদুল ইসলাম বিল্টু, আকিমুজ্জামান, রাফুজ্জামান রাফি, শাহিদ হাসান আমি, রাজু বিশ্বাস প্রমুখ। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: