• NEWS PORTAL

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

সংসদে বিরোধী দল নেই আওয়ামী লীগের কারচুপির কারণে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত: ১৬:১৪, ১৬ এপ্রিল ২০২২

আপডেট: ১৬:৪১, ১৬ এপ্রিল ২০২২

ফন্ট সাইজ
সংসদে বিরোধী দল নেই আওয়ামী লীগের কারচুপির কারণে: মির্জা ফখরুল

সংসদে বিরোধী দল নেই আওয়ামী লীগের কারচুপির কারণে। শক্তিশালী বিরোধী দল আছে বলেই এখনো আমরা কথাগুলো বলছি। কিন্তু তাদের কারচুপির কারণে পার্লামেন্টে বিরোধী দল নাই বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ‘শক্তিশালী বিরোধী দল আমরা পাচ্ছি না’-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মির্জা ফখরুল।

শনিবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে গতকাল শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে বৈঠকের কথা জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর কতৃক প্রকাশিত ‘২০২১ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিসেস’ শীর্ষক রিপোর্টের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রমাণিত হয়েছে যে এই অনির্বাচিত, অনৈতিক আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় অন্যায়ভাবে টিকে থাকতে চায়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের রিপোর্টে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, আইন-শৃংখলা বাহিনীর ভূমিকা, বিচার ব্যবস্থায় সরকারী হস্তক্ষেপ সম্পর্কে যে বিশদ বিবরণ দেয়া হয়েছে সে সম্পর্কে আলোচনা হয়।

তিনি বলেন, এই সরকারের মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘন, সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গুম, খুন, নির্যাতনের যে সকল অভিযোগ উঠেছে, তা এই রিপোর্টের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বিশেষ করে সম্প্রতি র‌্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা সেই সত্যকে আরো প্রতিষ্ঠিত করেছে।

বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ড, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নির্মম নির্যাতনের ফলে হত্যাকাণ্ড, প্রতিবাদকারী ব্যক্তিদের পিতা-মাতা, ভাই-বোনদের গ্রেফতার, বিচার প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার, বিশেষ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া এবং কারাগারে প্রেরণকে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত বলে উল্লেখ করা প্রকৃত সত্যকে উদঘটিত করেছে।

ফখরুল বলেন, রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি, সন্ত্রাস এবং আগের রাতে সীল মারা, ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন করে ভোট কেন্দ্রে আসতে না দিয়ে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে এবং নির্বাচন ব্যবস্থাকে জালিয়াতিপূর্ণ বলে অভিহিত করায় প্রমাণিত হয়েছে যে, অনির্বাচিত অবৈধ আওয়ামী সরকারের অধীনে কখনো অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।

রিপোর্টে উল্লেখিত মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ, সংবাদকর্মীদের নির্যাতন এবং নিবর্তন মূলক আইন প্রণয়ন গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে খর্ব করেছে। সভায় উল্লেখিত বিষয়গুলোকে ব্যাপকভাবে প্রচারের মাধ্যমে জনমত গঠন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: