• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

৮ ভোটে হেরে যাওয়া শ্রাবণ এবার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি

প্রকাশিত: ১৭:৩৯, ১৭ এপ্রিল ২০২২

আপডেট: ১৯:১৮, ১৭ এপ্রিল ২০২২

ফন্ট সাইজ
৮ ভোটে হেরে যাওয়া শ্রাবণ এবার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি

ফজলুর রহমান খোকন ও ইকবাল হাসান শ্যামলের নেতৃত্বাধীন ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ২০১৯ সালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিলে সভাপতি পদে মাত্র ৮ ভোটে হেরে যাওয়া আলোচিত নেতা কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণকে সভাপতি করা হয়েছে। বিলুপ্ত কমিটিতে শ্রাবণ সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বাড়িতে অনুষ্ঠিত ওই কাউন্সিলে আগের কমিটির সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন পেয়েছিলেন ১৮৬ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ পেয়েছিলেন ১৭৮ ভোট।

ছাত্রদল সূত্র জানায়, বিলুপ্ত কমিটিতে সাংগঠনিক শক্তিমত্তায় শ্রাবণ এবং সাইফ মাহমুদ জুয়েলের অবস্থান শক্ত ছিলো। সে হিসেবে নতুন কমিটি ভালো হয়েছে।

জানা গেছে, ছাত্রদল করায় তাঁর সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক ছিন্ন করে বাবা যশোর আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম। শ্রাবণের তিন ভাই যশোর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ওই সময়ে লিখিত বক্তব্যে তাঁর বাবা কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে আমি জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পদক, কেশবপুর উপজেলার নির্বাচিত চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক। আমার জ্যেষ্ঠপুত্র কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্তা আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত হয়ে নৌকা মার্কায় সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। দ্বিতীয় ছেলে কাজী মুজাহিদুল ইসলাম পান্না কেশবপুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি। তৃতীয় ছেলে কাজী মাযাহারুল ইসলাম সোনা যশোর জেলা মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। চতুর্থ ছেলে কাজী আযহারুল ইসলাম মানিক কেশবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক।

কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার কনিষ্ঠ ছেলে কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৩ সালে ভর্তি হয়। তখন সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকে ছাত্রদলের সংগঠনে জড়িয়ে পড়ে। সেই থেকে বাড়ির সঙ্গে তার যোগাযোগ কমে আসে। তিনি বলেন, বারবার আমি এবং আমার পরিবারের সবাই অনেক চেষ্টা করেও ছাত্রদল ও ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে তার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করাতে ব্যর্থ হয়েছি। এ জন্য আমার পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করি। সেও আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখে না।

শ্রাবণের বাবার সংবাদ সম্মেলনে পর রাজনৈতিক অঙ্গনে এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। শ্রাবণ আরও লাইমলাইটে চলে আসেন। 

বিভি/এনএম

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2