• NEWS PORTAL

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ছয়দিনের মাথায় আবার হাসপাতালে যাচ্ছেন বেগম জিয়া

প্রকাশিত: ১১:৫০, ২৮ আগস্ট ২০২২

ফন্ট সাইজ
ছয়দিনের মাথায় আবার হাসপাতালে যাচ্ছেন বেগম জিয়া

ছয়দিন পর রবিবার (২৮ আগস্ট) আবার হাসপাতালে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন এ কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের মেডিক্যাল বোর্ড কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বলেছেন। সেজন্য তাকে রবিবার বিকালে হাসপাতালে নেওয়া হবে।’

জানা গেছে খালেদা জিয়াকে ভর্তি করে প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা করার সকল প্রস্তুতি এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

গত ২২ আগস্ট খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। সেখানে বিএনপি চেয়ারপারসনের হৃদযন্ত্রের কয়েকটি পরীক্ষা যেমন ইকো, ইসিজি, আল্ট্রাসোনোগ্রাম ও এক্সরে করা হয়েছিলো। সেগুলোর পূর্ণাঙ্গ  প্রতিবেদন পাওয়ার পরে মেডিক্যাল বোর্ড আরও কয়েকটি পরীক্ষার জন্য জরুরিভাবে হাসপাতালে ভর্তির সুপারিশ করেন। সেই প্রেক্ষিতে খালেদা জিয়া রবিবার হাসপাতালটিতে যাচ্ছেন।

হাসপাতালটির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সবশেষ গেল ১১ জুন এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার হৃৎপিণ্ডের ব্লক অপসারণ করে একটি ‘স্টেন্ট’ বসানো হয়েছিল।

৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে হৃৎপিণ্ডের রক্তনালীতে ব্লক, আর্থ্রাটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হলে কারাগারে যেতে হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাতেও তার সাজার রায় আসে।

দেশে করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালে ২৫ মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। শর্ত দেওয়া হয়, তাকে দেশেই থাকতে হবে।

কারাগার থেকে বেরিয়ে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসা ফিরোজায় ওঠেন, এখন সেখানেই তিনি থাকছেন। ২০২১ সালে এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়াকে ছয় দফায় ঢাকার বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

গত বছর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথাও জানান চিকিৎসকরা।

নানা জটিলতার উন্নত চিকিতসার দাবি করে তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য কয়েক দফা আবেদন করেছিলেন তার ভাই শামীম এস্কান্দার। কিন্তু সাময়িক মুক্তির শর্তে কথা উল্লেখ করে প্রতিবারই তা নাকচ করেছে সরকার।

বিভি/এনএম/এএএন

মন্তব্য করুন: