জামায়াতের তকমা লাগা বিডিপি’র অফিস চলে শেয়ারে
ইসিতে নতুন নিবন্ধন চাওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অন্যতম আলোচনার কেন্দ্রে ছিলো হঠাৎ আত্মপ্রকাশ করা বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি-বিডিপি। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাথে এই দলের কোনো সম্পর্ক আছে কি না-এই প্রশ্নে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
নিবন্ধনের আবেদনে বিডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় দেখানো হয়েছে নয়াপল্টনে ‘চায়না টাওয়ার’ নামে একটি বহুতল ভবনের ঠিকানা। ওই ভবনের ১২ তলার পশ্চিম পাশের ৭ নম্বর ফ্লাটের দরজার সামনে দলটির ডিজিটাল সাইবোর্ড লাগানো হয়েছে।
ভেতরে প্রবেশ করতেই অন্যরকম তথ্য পাওয়া যায়। ফ্লাটের মধ্যে সামনের স্পেস এবং একটি রুম শেয়ারে ভাড়া নিয়েছে বিডিপি। ওই অংশে নেই কোনো চেয়ার-টেবিল। দেখে মনে হবে না-এটি কোনো রাজনৈতিক দলের অফিস। একটি স্টুডিওসহ বাকি রুমগুলো ইউটিউব ভিত্তিক একটি চ্যানেলের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। জানা গেছে, মাস খানেক আগেই বিডিপি একটি অংশ ভাড়া নিয়েছে।
সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশনে ১৫-সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটির তালিকায় দলটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে এ. কে. এম. আনোয়ারুল ইসলামকে। ১৯৮৭ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন তিনি। দায়িত্ব পেয়েছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও। এরপর লম্বা সময় সৌদি আরবে থাকাকালীন জামায়াতের সাথে সম্পৃক্ত হন বলে জানা যায়। যদিও নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের তা অস্বীকার করেন।
তাদের গঠনতন্ত্রে ইসলামী রাজনীতি নিয়ে কোনো বক্তব্য নেই জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মেনেই তাদের গঠনতন্ত্র তৈরি করেছেন।
অন্যদিকে, নতুন এই দলের সেক্রেটারী জেনারেল নিজামুল হক নাইম ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ছাত্র সংগঠনটির ভেতরে সমস্যার কারণে তিনি ঐ পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। পরে জামায়াতের ঢাকা মহানগর কমিটির মজলিশে শুরার সদস্য হয়েছিলেন।
এছাড়া ১৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির তালিকার অধিকাংশই ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির কোনো না কোনো পর্যায়ের নেতা ছিলেন। তাঁদের একজন রাশেদুল ইসলাম। শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক ও পরে ছাত্রকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। আরেকজন রিয়াদ হোসাইন, যিনি একসময় শিবিরের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: