• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ০১ মে ২০২৪

ঢাকায় সমাবেশ করতে বিএনপিকে যে ২৬টি শর্ত দেওয়া হয়েছে

প্রকাশিত: ২২:২৯, ২৯ নভেম্বর ২০২২

আপডেট: ২২:৪১, ২৯ নভেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
ঢাকায় সমাবেশ করতে বিএনপিকে যে ২৬টি শর্ত দেওয়া হয়েছে

ফাইল ছবি

চলমান কর্মসূচির আওতায় আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকায় সমাবেশ করবে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই মহাসমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বিএনপিকে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে এই অনুমতি দেওয়া হয়।

তবে সমাবেশের জন্য বিএনপিকে ২৬টি শর্ত দিয়েছে ডিএমপি। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) ডিএমপির পক্ষ থেকে বিএনপিকে মহাসমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার বিকালে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দফতর ও প্রশাসন) আব্দুল মোমেনের সই করা এক চিঠিতে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতির কথা জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ১০ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার জন্য অনুমতি দেওয়া হলো।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে দেওয়া এক চিঠিতে সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে জানিয়েছে পুলিশ। রিজভী কার্যালয় থেকে যাওয়ার পথে পার্টি অফিসের সামনে এই অনুমতিপত্র গ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন: 

 

বিএনপির ২৬টি শর্ত-

১. এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেক অনুমোদন নিতে হবে।  

২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে।  

৩. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।  

৪. নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান  আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।

৫. স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলের অভ্যন্তরে ও বাইরে উন্নত রেজ্যুলেশনের সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।  

৬. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি প্রবেশপথে আর্চওয়ে স্থাপন করতে হবে এবং সমাবেশস্থলে আগতদের হ্যান্ড মেটাল ডিটেকটরের মাধ্যমে (স্বপ্রণোদিতভাবে) চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

৭. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভেইকল স্ক্যানার বা সার্চ মিররের মাধ্যমে সমাবেশস্থলে আগতদের যানবাহন তল্লাশির ব্যবস্থা করতে হবে।  

৮. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলে অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা রাখতে হবে।  

৯. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরে বা সড়কের পাশে মাইক বা সাউন্ডবক্স ব্যবহার করা যাবে না।  

১০. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরে বা সড়কের পাশে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না।  

১১. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরে বা রাস্তায় বা ফুটপাতে কোথাও লোক সমাগম করা যাবে না।  

১২. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময়ে মাইক বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।  

১৩. ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন বক্তব্য প্রধান বা প্রচার করা যাবে না।  

১৪. অনুমোদিত সময়ের মধ্যে সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম শেষ করতে হবে।  

১৫. সমাবেশ শুরুর দুই ঘণ্টা আগে লোকজন সমবেত হওয়ার জন্য আসতে পারবে।  

১৬. সমাবেশস্থলের আশপাশসহ রাস্তায় কোনো অবস্থাতেই সমবেত হওয়াসহ যান ও জন চলাচলে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।  

১৭. পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে কোনো ধরনের লাঠিসোঁটা বা রড ব্যবহার করা যাবে না।  

১৮. আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।  

১৯. রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য দেওয়া যাবে না।  

২০. উস্কানিমূলক কোনো বক্তব্য বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।  

২১. মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে আসা যাবে না।  

২২. পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থানে গাড়ি পার্কিং করতে হবে, মূল সড়কে গাড়ি পার্কিং করা যাবে না।  

২৩. সমাবেশস্থলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।  

২৪. স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ অনুসরণপূর্বক সমাবেশ পরিচালনা করতে হবে।  

২৫. উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।  

২৬. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।

উল্লেখ্য, বিএনপি বেশকিছু দাবিতে বিভাগীয় মহাসমাবেশ করছে দুই মাস ধরে। ইতিমধ্যে ৮টি বিভাগীয় শহরে সমাবেশ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী এবং ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হবে মহাসমাবেশপর্ব।

আরও পড়ুন: 

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: