• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

৩০ তারিখ বাধা আসলেও চুপ থাকবে না বিএনপি: আব্দুল মঈন খান

প্রকাশিত: ১৫:৩৪, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২

আপডেট: ১৭:৫৫, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে রাজনৈতিক সংকট চলছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়েছে। যুগপৎ আন্দোলন নিয়ে কথা বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। 

বাংলাভিশন: ৩০ তারিখ ঢাকায় গণমিছিলের কর্মসূচি। এই কর্মসূচি কি বার্তা দেবে?

ড. আব্দুল মঈন খান: আমাদের বার্তা একটি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। কথা বলার অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে হবে।

বাংলাভিশন: ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিলে বাধা এলে বিএনপি কিরবে?

ড. আব্দুল মঈন খান: এখানে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য পৃথিবীর কোথায় না হয়েছে। বাধা কোথায় আসেনি। ৩০ তারিখ আন্দোলনের একটি দিন মাত্র। ৩০ তারিখ কেন? এর আগেও বাধা এসেছে। ৩০ তারিখের পরেও আসবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ চুপ করে বসে থাকতে পারে না। দেশের মানুষ ভোটের স্বাধীনতা চায়।

বাংলাভিশন: বিএনপি মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতাদের অনেকেই জেলে রয়েছেন। সাময়িক এই সংকট বিএনপি কিভাবে মোকাবিলা করছে? 

ড. আব্দুল মঈন খান: এটা রাজনীতির স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হয়। যেখানেই মানুষ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে যায় সেখানেই কায়েমি স্বার্থবাদ বাধা দেয়। বাংলাদেশে তাই হচ্ছে। এটা চিরন্তন যুদ্ধ। এটা আমাদের করে যেতে হবে। যতক্ষণনা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারছি। নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার আসবে সেটাকে বিএনপি সরকার বলছিনা। সেটা হবে জনগণের সরকার। জনগণ যদি বিএনপিকে ভোট দেয় তাহলে বিএনপি আসবে। আর যদি আওয়ামী লীগ ভালো কাজ করে তাহলে আওয়ামী লীগকে মানুষ ভোট দিবে। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আসতে হবে। জোর করে দিনের ভোট রাতে নিয়ে আসলে হবে না।

বাংলাভিশন: সিনিয়র নেতারা জেলে রয়েছেন। অনেকের জামিন হচ্ছে না। আপনি কি জানেন?

ড. আব্দুল মঈন খান: বাংলাদেশে সংবিধান যখন রচিত হয়েছিলো সেখানে তিনটি মূল স্তম্ভ ছিলো। ১. প্রশাসন ২. বিচার ব্যবস্থা ৩. পার্লামেন্ট। আজকে সংসদ সরকারের কুক্ষিগত হয়েছে। প্রশাসন ব্যবস্থা সরকার দখল করে রেখেছে। বিচার ব্যবস্থাও কুক্ষিগত করা হয়েছে। যেভাবে আদেশ দেবেন সেভাবেই রায় হবে। সুতরাং বিচার ব্যবস্থা বলতে কিছু নেই। ৭ ডিসেম্বর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পার্টি অফিসের ঘটনা শুনে নয়াপল্টন গেলেন। প্রায় ৩ ঘন্টা সেখানের ফুটপাতে বসে ছিলেন। তিনি কিভাবে সন্ত্রাস করলেন? কিভাবে বোমাবাজি করলেন? ককটেল ফুটালেন? এটা আমাদের বোধগম্যে আসে না। একলক্ষ মামলা বিরোধী দলের বিরুদ্ধে দেয়া হয়েছে। এটা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে দ্বিতীয় উদাহরণ দেখাতে পারবেন? ১ লাখ মামলায় ৩৫ লাখ নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। দ্বিতীয় একটি উদাহরণ দিতে পারবেন পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

বাংলাভিশন: যুগপৎ আন্দোলনে অন্যান্য দলের সাথে সমন্বয় কিভাবে করছে বিএনপি?

ড. আব্দুল মঈন খান: বিরোধী রাজনৈতিক দল আছে। আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করছি। একই কর্মসূচি নিচ্ছি। গতবারের থেকে আলাদা যেটা হচ্ছে, আমরা যার যার প্লাটফর্ম থেকে সরকার অপসারণ করা এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছি।

বিভি/এনএম/এজেড

মন্তব্য করুন: