পুলিশের ভয়ে বাসর রাতে নববধূকে রেখে আত্মগোপনে বিএনপি নেতা

ছবি সংগৃহিত
বিয়ে করে নববধূকে বাড়িতে আনা হলেও বাসর করতে পারেননি বর বিএনপি নেতা। বিয়েরদিন দায়ের করা মামলায় তিন আসামিকে গ্রেফতারের পর এজাহারভূক্ত আসামি বর ইরান খান পুলিশের গ্রেফতার আতঙ্কে নববধূকে রেখে আত্মগোপন করেছেন। ঘটনাটি জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা গ্রামের।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগে জানা গেছে, বাগধা গ্রামে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল খালেক খানের ছেলে ইরান খান সামাজিকভাবে বরযাত্রী নিয়ে পার্শ্ববর্তী আমবৌলা গ্রামের মোক্তার আলী মৃধার মেয়ে নারগিস খানমকে বিয়ে করে রবিবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন।
ওই বিয়ের বরযাত্রী ছিলেন-ইরানের বড় বোন জামাতা জেলা উত্তর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল মোল্লা। বরযাত্রী থেকে ফিরে সন্ধ্যার পর আবুল মোল্লা বাগধা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক খানের সঙ্গে বাগধা পশ্চিমপাড় বাজারের বসে কথা বলেন। এ কারণে এমদাদুলকে মারধর করেন ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান তালুকদার।
বিষয়টি জানতে পেরে যুবদল নেতা আবুল মোল্লা ওই বাজারে গিয়ে এমদাদুলকে মারধরের কথা মশিউরকে জিজ্ঞাসা করেন। এ কারণে ওইদিন রাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ৩০/৪০ জন নেতাকর্মীরা যুবদল নেতা আবুল মোল্লাকে তার শ্বশুর বাড়ি (বিয়ে বাড়ি) খুঁজতে যান।
ওইদিন রাতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মোকলেচুর রহমান বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা আসামি করে আগৈলঝাড়া থানায় হামলা ও লুটপাটের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে যুবদল ও ছাত্রদলের তিন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেন। এ খবর পেয়ে ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নববিবাহিত ইরান খান ও তার ভাই মিরান খান পুলিশের গ্রেফতার আতঙ্কে নিজ বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপন করেন। এর ফলে নববিবাহিত ইরান খানের বাসর রাত পন্ড হয়ে যায়।
নববধূ নারগিস খানম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘আমার স্বামী ইরান খানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আমি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে ন্যায় বিচার চাচ্ছি।’
থানার ওসি (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘মামলার এজাহারভূক্ত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে। তবে কোনো আসামি বিয়ে করেছে তা আমাদের জানা নেই।’
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: