রংপুর সিটি নির্বাচনে আ.লীগের ভরাডুবি

রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে রদ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে তিনি ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হয়েছে। নৌকা প্রতীকে দলটির প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া (নৌকা প্রতীকে) পেয়েছেন ২২ হাজার ৩০৬ ভোট। তার সঙ্গে মোস্তফার ভোটের ব্যবধান ১ লাখ ২৪ হাজার ৪৯২ ভোট বেশি পেয়েছেন। আর নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আমিরুজ্জামান। তিনি হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৮৯২ ভোট। তৃতীয় হয়েছেন মো. লতিফুর রহমান ৩৩ হাজার ৮৮৩ ভোট। আওয়ামী লীগের হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া (নৌকা প্রতীকে) পেয়েছেন ২২ হাজার ৩০৬ ভোট। আবু রায়হান ডাব প্রতীক নিয়ে ১০ হাজার ৫৪৯ ভোট পেয়েছেন।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোট গ্রহণ। তবে ভোটারদের আঙ্গুলে ছাপ না মেলায় ভোটগ্রহণে ধীর গতির কারণে কেন্দ্রের ভেতরে থাকা ভোটারদের রাত পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আব্দুল বাতেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
দেশের তৃতীয় বৃহত্তম এই সিটিতে এবারের নির্বাচনে ৯ মেয়র প্রার্থীসহ মোট ২৬০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ৩৩টি ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর (মহিলা) পদে ৬৭ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৭৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২২৯টি কেন্দ্রে হাজার ৩৪৯ বুথে ইভিএমের মাধ্যমে ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া (নৌকা), জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আমিরুজ্জামান পিয়াল (হাতপাখা), বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান (ডাব), খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল (দেয়াল ঘড়ি), জাসদের শাফিয়ার রহমান (মশাল), জাকের পার্টির খোরশেদ আলাম (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফুর রহমান মিলন (হাতি) ও মেহেদী হাসান বনি (হরিণ)।
২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত রংপুর সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে দুবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ২০১২ সালের নির্বাচন হয়েছিল দলীয় প্রতীক ছাড়া। ২০১৭ সালের নির্বাচন হয়েছিল দলীয় প্রতীকে। ওই নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ৯৮ হাজার ৮০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন সিটির প্রথম মেয়র প্রয়াত সরফুদ্দিন আহম্মেদ ঝন্টুকে। সেবার মোস্তফা পেয়েছিলেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮২৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঝন্টু পেয়েছিলেন ৬১ হাজার ৫৫৭ ভোট। মোস্তফা-ঝন্টু ছাড়াও নির্বাচনে লড়েছিলেন পাঁচজন। তৃতীয় অবস্থানে থাকা বিএনপির প্রার্থী কাওছার জামান বাবলা পেয়েছিলেন ৩৪ হাজার ৭৯১ ভোট।
বিভি/এইচএস
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: