মির্জা ফখরুলকে বাংলাদেশ থেকে চলে যেতে বললেন কাদের সিদ্দিকী

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুর ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, বাংলাদেশের চাইতে পাকিস্তান ভালো মনে হলে তোমার থাকার দরকার নেই, পাকিস্তানে চলে যাও।
শনিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত পিতা-পুত্র শীর্ষক প্রতিকৃতি উন্মোচন ও সংগঠনটির কর্মীসভায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, তিনি (মির্জা ফখরুল) বিএনপির একজন নেতা, ভাল মানুষও বলা যায় তাকে। কিন্তু তিনি কেন যেন বলে বসলেন বাংলাদেশের চেয়ে পাকিস্তান ভাল ছিল। যে দেশকে রক্ত দিয়ে অর্জন করেছি। কারো যদি মনে হয় বাংলাদেশের চাইতে পাকিস্তানিই ভাল ছিল। এরকম কথা যদি বলেন। তার এক মুহূর্ত বাংলাদেশে থাকার অধিকার আছে কিনা আমি জিজ্ঞেস করতে চাই।
পাকিস্তান গিয়ে তুমি নাচানাচি করো। বাংলাদেশে কথা বলার তোমার কোনো অধিকার থাকার কথা নয়। বাংলাদেশে তোমার থাকার দরকার নেই।
তিনি বলেন, এখানে খাবেন, ঘুরবেন, আলো-বাতাসে মানুষ হবেন আর পাকিস্তানের গুনকীর্তন করবেন তা হবে না। পাকিস্তান ও খুব বেশী সুখে নেই। ইমরান খানের মত মানুষকে ৮০ ভাগ সমর্থন দিয়ে বসানো হয়েছে। তাকে ঘাটে ঘাটে হয়রানী করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশের রাজনীতি করবেন পাকিস্তানের গুন গাইবেন না। যে যাই বলেন, যাই করেন আমরা যতক্ষণ বেঁচে আছি বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে পারবেন না।
তিনি বলেন, গামছার দল করি বলে নৌকাওয়ালারা ভাইবেন না বঙ্গবন্ধু সবখানি আপনার। বঙ্গবন্ধু যখন মারা যায়, তার তিন ছেলেকে যখন মেরে ফেলা হয়, অনেক বড় বড় আওয়ামী লীগ নেতারা ইঁদুরের গর্তে লুকিয়েছিলেন। আমি বলেছিলাম, বঙ্গবন্ধুকে ওরা নির্বংস করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার বদলা আমি নেবোই নেবো। যদি প্রতিবাদ না করতাম আমার ছোট ভাই শামীমও বাঁচত না, আইভীও বাঁচত কীনা জানি না। তাই একটু ভেবে চিন্তে কথা বলবেন।
বঙ্গবীর বলেন, নারায়ণগঞ্জকে আমি খুব ভালবাসি। নারায়ণগঞ্জের সঙ্গে আমার রক্তের বন্ধন। ৭০ থেকে ৮০ বছর আগে আমার দাদা এই নারায়ণগঞ্জে পাটের ব্যাবসা করতেন। পাকিস্তানের নেতা কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সঙ্গে তিনি রাজনীতি করেছেন। তার বিশাল পাটের ব্যাবসা ছিল। কোথায় ছিল কী ছিল আমরা জানি না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি হঠাৎ মারা যান।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের জেলা সভাপতি শফিকুল ইসলাম দেলোয়ারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিক।
প্রধান বক্তা ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য বেগম নাসরিন কাদের সিদ্দিক।
আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক খোকন, ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইমরান জিসান, সেক্রেটারি মো. জামান প্রমুখ।
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: