• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

যেভাবে হাস্য-রসিকতা করতেন মহানবী (সা.)

প্রকাশিত: ০৭:২৩, ৩০ আগস্ট ২০২২

ফন্ট সাইজ
যেভাবে হাস্য-রসিকতা করতেন মহানবী (সা.)

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ এবং আখেরী নবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) গোটা মানবজাতির জন্য এক অনুসরণীয় জীবনাদর্শ। তিনি ছিলেন সবচেয়ে সুন্দর বাচনভঙ্গির অধিকারী। তিনি সবসময় মুচকি হাসি দিয়ে কথা বলতেন। তিনিও হাস্য রসাত্মক সময় কাটিয়েছেন। কিন্তু সেটা সাধারণ মানুষদের মতো না।

সাহাবায়ে কেরামগণের সঙ্গে কখনো কখনো মুচকি হাসিতে হুদয়ের গভীরে আসন করে নিতেন মহানবী (সা.)। এমনকি তিনি তাদের সঙ্গে অকৃত্রিম রসিকতাও করতেন। তবে তিনি এক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখতেন এবং সীমার মধ্যে থাকতেন।  

ইসলামের ইতিহাস থেকে জানা যায়, একবার প্রিয়নবী (সা.) এর সহধর্মিণী হযরত আয়েশা (রা.) কে প্রশ্ন করা হলো যে, রাসুলু (সা.) কি কখনো হাস্য-রসিকতা করতেন? মা আয়েশা (রা.) উত্তর দিলেন, ‘ হ্যাঁ, করতেন তবে যত্রতত্র নয়। স্থান-কাল- পাত্র ও সম্বোর্ধিত ব্যক্তিটির যোগ্যতানুসারে করতেন।’

হযরত আনাস (রা.) এর বর্ণনায় পাওয়া যায়, একবার জনৈক ব্যক্তি মহানবী (সা.) এর কাছে এসে সওয়ার উপযোগী একটা উটের জন্য আবেদন করলো। রাসুল (সা.)  বললেন, আমি তোমাকে উটের একটা বাচ্চা দান করবো। লোকটি হতাশ হয়ে বললো, হুজুর, আমি উটের বাচ্চা নিয়ে কী করবো? রাসুল (সা.) উত্তর দিলেন, প্রত্যেক উটই কোন না কোন উটনীর বাচ্চা হয়ে থাকে। (শামায়েলে তিরিমিজি-১৭৭)

এছাড়া আরেক ঘটনা- রাসুল (সা.) একদিন সাহাবীদের সঙ্গে বসে খেজুর খাচ্ছিলেন। হযরত আলীও ওই মজলিশে বসে খেজুর খাচ্ছিলেন। তখন রাসুল (সা.) ও কয়েকজন সাহাবী খেজুরের বীচিগুলো হযরত আলী (রা.) এর সামনে রেখে দিচ্ছেন। হঠাৎ রাসুল (সা.) রসিকতা করে বললেন, বীচি দেখে অনুমান করা যায়, কে সবচেয়ে বেশি খেজুর খেয়েছে। তখন হযরত আলী (রা.) হেসে বললেন, এতে এটাও অনুমান করা যায় কোন মানুষটি বীচি বাদ দিয়ে খেজুর খেয়েছে আর কোন মানুষটি বীচিসহ খেজুর খেয়েছে। (তিরমিজি, আবু দাউদ)

এ ধরনের রসিকতাগুলো থেকে বোঝা যায়, মহানবী (সা.) রসিকতা করতেন। কিন্তু কখনো সাধারণ মানুষের মতো মিথ্যা বলে বা ছলচাতুরীমূলক হাসি-ঠাট্টা করেননি। তার আদর্শ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা আমাদের সকলের কর্তব্য।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: