টাঙ্গাইলে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ব্রি-ধান- ১০৩
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল (উফশী) ধানের নতুন জাত ব্রি-ধান-১০৩ রোপা আমন মৌসুমে টাঙ্গাইলে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এ ধানের উচ্চ ফলন, স্বল্প জীবনকাল এবং চিকন চালের কারণে এটি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কৃষকদের মাঝে এ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
জানা যায়, জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে খাদ্য চাহিদা পূরণের জন্য জমির উৎপাদন বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। সেই ক্ষেত্রে ব্রি-ধান-১০৩ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। আমনের মৌসুমে অতীতের যে কোন সময়ের থেকে সর্বাধিক ফলন আসছে এই ধানের আবাদে।
জাতটি নতুন এলেও এখনও সাধারণ কৃষকদের মাঝে এটির সুফল পৌঁছেনি। চলতি মৌসুমে টাঙ্গাইলে দুই হাজার ৪০১ হেক্টর জমিতে ব্রি-ধান-১০৩ আবাদ হয়েছে। এবারই প্রথম জেলার দেলদুয়ারে উপজেলায় এই ধানের আবাদ হয়। আশাতীত ফলন কৃষকদের মাঝে আশার আলো জ্বালিয়েছে। অন্যন্য ধানের থেকে প্রায় দ্বিগুণ ফলন এসেছে।
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার কৃষকরা বলেন, স্বল্প জীবনকাল ও রোগবালাই কম হওয়ায় একই জমিতে বছরে দু’টি ধানসহ তিনটি ফসল আবাদ করা সম্ভব হবে। এই জাতের চাল লম্বা ও চিকন, যা রপ্তানীযোগ্য এবং কৃষক বাজারে ভালো দাম পাবে। আগামীতে অনেকেই স্বপ্ন দেখতে এ জাতের ধানের আবাদের।
অপরদিকে ব্রি-ধান-১০৩ জাতটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের কৃষি খাতে একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। দেশের বিশাল জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটাতে ও কৃষকের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বড় ধরনের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত বীজের সম্প্রসারণ ও সঠিক চাষাবাদ পদ্ধতি সম্পর্কে কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হলে দেশের খাদ্য ঘাটতি পূরণে অনেকটাই সহায়ক হিসেবে ভ’মিকা রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দেলদুয়ার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুল হাসান বলেন, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের তথ্য ও প্রযুক্তিগত সহায়তার পাশাপাশি সঠিক মাত্রায় বালাই নাশক প্রয়োগের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
বিভি/এজেড




মন্তব্য করুন: