আলু চাষিদের ভর্তুকি দেওয়া নিয়ে যা বললেন কৃষি উপদেষ্টা
কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, সরকার আলু চাষিদের ভর্তুকি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে।
তিনি বলেন, আমরা আলু চাষিদের জন্য ভর্তুকি বিবেচনা করছি, কারণ তারা ব্যাপক উৎপাদন সত্ত্বেও আলুর দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
রবিবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে জেলা কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় এ বৈঠক আহ্বান করা হয়।
আলু চাষিদের ভর্তুকি কীভাবে দেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কীভাবে কার্যকরভাবে ভর্তুকি দেওয়া যায়, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পেঁয়াজের আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে উপদেষ্টা বলেন, মূল্য কারসাজির সঙ্গে কাউকে জড়িত হিসেবে পাওয়া গেলে বরখাস্ত করা হবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, যথেষ্ট মজুত থাকা সত্ত্বেও বাজার কারসাজির কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, গতকাল পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা বেড়েছিল। তবে, সরকার ৭ ডিসেম্বর থেকে সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানি অনুমোদনের ঘোষণা দেওয়ার পর আজ দাম কমেছে।
তিনি বলেন, আমাদের সেই সিন্ডিকেটকে চিহ্নিত করতে হবে। আপনারা গণমাধ্যমকর্মীরা সহযোগিতা করলে এটি করতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার পেঁয়াজ আমদানি অনুমোদন দিয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ বিবেচনা করতে হবে। দাম বাড়লে ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, দাম হঠাৎ কমে গেলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পেঁয়াজ যদি কেজিতে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়, তাহলে কৃষক ও ভোক্তা-উভয়ের স্বার্থই রক্ষা হয়।
দেশে কোনো সার সংকট নেই উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর বলেন, তামাক চাষ নিরুৎসাহিত করার অংশ হিসেবে সরকার তামাক চাষিদের সার সরবরাহ সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, গবাদিপশু ও মাছ চাষে ক্ষতিকর সার ও কীটনাশক ব্যবহার জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং এ ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
বিভি/এজেড




মন্তব্য করুন: