বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে মণিপুরী জনগোষ্ঠীর জীবনধারা নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের চিত্রশালায় বাংলাদেশের মণিপুরী জনগোষ্ঠীর জীবনধারা নিয়ে ৩ আলোকচিত্রীর ৯ দিনের আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টায় ‘মণিপুরী: এন এথনিক কমিউনিটি অব বাংলাদেশ’ শিরোনামে এই প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
প্রদর্শনীতে ৩ জন আলোকচিত্রীর তোলা ১০২টি আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে। তারা হলেন- মো. কাউছার হাবিব সোমেল, মোহা: আসহাবুল হক নান্নু ও মোহাম্মদ হারুন আর রশীদ।

উদ্বোধনী আয়োজনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতজন শংকর সাওজাল, আলোকচিত্রী নাফিস আহমেদ নাদভী ও আলোকচিত্রী হাসান সাইফুদ্দিন চন্দন।
আয়োজকদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘প্রদর্শনীতে মণিপুরী সমাজের দৈনন্দিন জীবনের সূক্ষ্ম নান্দনিকতা ও মাধুর্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সীমাহীন আকাশ আর সবুজের অনন্ত সমারোহে শ্রীভূমির প্রকৃতির অপূর্ব বিস্তার, গ্রামের আঙিনায় কাজের ব্যস্ততা, নারীদের বয়নচক্রে সুতো কাটা, কৃষিকাজ ও ধর্মীয় প্রস্তুতি, আর শিশুদের হাসি–খেলার রঙিন চঞ্চলতা মিলেমিশে গড়ে ওঠা এক প্রশান্ত পরিবেশ এই প্রদর্শনীতে দেখা যাবে। আচার-অনুষ্ঠান, ঐতিহ্যবাহী পোশাক, সাংস্কৃতিক চর্চার প্রতিটি ছবি আমাদের স্মরণ করিয়ে দিবে—সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যই একটি জাতির সত্যিকারের সৌন্দর্য।’
প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আর্ট গ্যালারি, ৪০২ নম্বর কক্ষে সকল দর্শনার্থীর জন্য প্রদর্শনীটি উন্মুক্ত থাকবে। চলমান একটি মেন্টরশিপ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এই বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের বহুজাতিক সংস্কৃতির বিস্তৃত পরিমণ্ডলে মণিপুরী জনগোষ্ঠী এক স্বতন্ত্র ও নন্দনশীল পরিচয়ের বাহক। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শান্ত অথচ গভীরতর সৌন্দর্যে ভরপুর এই গুরুত্বপূর্ণ নৃতাত্ত্বিক সম্প্রদায়টি তার স্বাতন্ত্র্য, স্বকীয়তা ও ঐতিহ্যের গভীর শিকড় নিয়ে আলো ছড়িয়েছে জাতীয় সংস্কৃতির নানা রঙে। তাদের জীবনধারা বৃহত্তর জাতিসত্তাকে শুধু সমৃদ্ধই করেনি, বরং বাংলাদেশের জাতীয় সংস্কৃতিকে উপহার দিয়েছে এক মনোহর বর্ণচ্ছটা। যাদের ভাষা, আচার-অনুষ্ঠান, ধর্মবিশ্বাস, নৃত্য-সংগীত, কারুশিল্প ও দৈনন্দিন জীবনযাত্রা আমাদের ইতিহাস, সমাজ ও সংস্কৃতির অনন্য এক অধ্যায়। সময়ের প্রবাহে বহু পরিবর্তন ও অভিযোজনের মধ্য দিয়ে মণিপুরী সমাজ তাদের স্বকীয়তা জাগ্রত রেখেছে।
বিভি/এআই




মন্তব্য করুন: