সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ৬ জনকে পুশ-ইন

আন্তর্জাতিক আইন না মেনে আবারও সাতক্ষীরার কুশখালি সীমান্ত দিয়ে ৪ নারীসহ ৬ জনকে পুশ-ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। বুধবার (১৮ জুন) রাতে সাতক্ষীরা সদর থানায় তাদের সোপর্দ করে বিজিবি।
সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশি এসব নাগরিকরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতের মুম্বাই শহরে গিয়েছিলেন। কেউ গৃহকর্মী, কেউ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তারা।
ভারতীয় পুলিশ তাদের মুম্বাই এলাকা থেকে আটক করে পশ্চিমবাংলার চব্বিশ পরগনা জেলার হাকিমপুর সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ এর মাধ্যমে রাতে পুশইন করে। এসময় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী সীমান্তের টহল বিজিবি তাদের আটক করে সদর থানায় সোপর্দ করে।
আটককৃতরা হলেন, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার তোতলা গ্রামের মুন্সি নজরুল হকের ছেলে আবু সাঈদ মুন্সি। আবু সাঈদ মুন্সী ৬ বছর আগে সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্ত দিয়ে কাজের সন্ধানে ভারতের মুম্বাইতে যান। রংপুরের মুন্সিগঞ্জের বাসিন্দা নাজিম উদ্দীনের ছেলে ওয়াজ কুরুনী। ওয়াজ কুরুনী দুই বছর আগে কাজের সন্ধানে মুম্বাইতে গিয়ে কৃষিকাজ করতেন।
নারায়ণগঞ্জের কদমতলী গ্রামের মো. মাসুদের স্ত্রী রোকসানা বেগম কুশখালী সীমান্ত দিয়ে দুই বছর আগে ভারতে কাজের সন্ধানে গিয়েছিলেন। একইভাবে যশোর জেলার শার্শা উপজেলার বাঘআছড়া গ্রামের কোরবান আলীর স্ত্রী সাবরিনা খাতুন পাঁচ বছর আগে কাজের সন্ধানে ভারত যান। একই উপজেলার সনাতনকাটি গ্রামের ইব্রাহীম সরদারের মেয়ে মোছা. হাফিজা বেগম এক বছর ২ মাস আগে কাজের সন্ধানে গিয়েছিলেন। এছাড়া সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হুলহুলিয়া গ্রামের ওমর আলীর স্ত্রী রোকসানা খাতুন ৬ বছর আগে মুম্বাই কাজের সন্ধানে গিয়েছিলেন বলে বিজিবির কাছে স্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক জানান, পুশ-ইনকৃত তিনজনকে রাতেই তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া বাকীদের পরিচয় যাচাই-বাছাই চলছে।পরবর্তীতে তাদের নিজ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। পুশইন হওয়া সবাই বাংলাদেশের নাগরিক বলেও জানান তিনি।
বিভি/এসজি
মন্তব্য করুন: