• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জলদস্যু কাজল-মুন্না বাহিনীর ৩ সদস্য গ্রেফতার

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১০:০৫, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
জলদস্যু কাজল-মুন্না বাহিনীর ৩ সদস্য গ্রেফতার

সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের জলদস্যু কাজল-মুন্না বাহিনীর তিন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হুমায়ুন কবির মোল্লা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এর আগে সোমবার রাতে যশোরের অভয়নগর থানার গোবিন্দপুর ও আড়পাড়া থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- যশোর অভয়নগরের আড়পাড়া গ্রামের পরিতোষ রায়ের ছেলে বিপ্লব রায় (৩২), গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত চিত্তরঞ্জন মল্লিকের ছেলে সুব্রত মল্লিক (৪৩) ও একই এলাকার কৌতুক বিশ্বাসের ছেলে লক্ষণ বিশ্বাস (৭০)।

শ্যামনগর থানা সূত্রে জানা যায়, সুন্দরবন থেকে রমজাননগর এলাকার দুই জেলেকে অপহরণপূর্বক মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে সোমবার শ্যামনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ লাল্টু। জলদস্যু পরিচয়ে ৯ জন অস্ত্রধারী গত ৪ সেপ্টেম্বর সুন্দরবনের পায়রাটুনি খাল থেকে তাদের অপহরণের ঘটনায় অজ্ঞাত নামীয় নয়জনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়।

ভুক্তভোগী জেলেদের বরাত দিয়ে আব্দুল হামিদ জানান, বনবিভাগের অনুমতি নিয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর সকালে সুন্দরবনে যায় রমজাননগর ইউনিয়নের ছয় জেলে। দুপুরের দিকে পায়রাটুনি খালে পৌঁছানোর পর কাজল-মুন্না বাহিনীর পরিচয়ে তার এলাকার জেলে ওয়েজকুরুনি, বিজয় ধীবর, আব্দুস সালাম ও আব্দুল মজিদকে অপহরণ করে জলদস্যুরা। মুক্তিপণের টাকা নির্দিষ্ট একটি বিকাশ নম্বরে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে একদিন পরে দু’জনকে রেখে অন্যদের ছেড়ে দেয় তারা। এই ঘটনায় সোমবার তিনি শ্যামনগর থানায় মামলা করেন।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হুমায়ুন কবির মোল্লা জানান, মামলা দায়েরের পর প্রযুক্তির সহায়তায় যশোরের বিভিন্ন এলাকা থেকে অপরাধী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। একই সাথে গ্রেফতারকৃতদের নিকট থেকে আদায়কৃত মুক্তিপণের ৭৪ হাজার টাকাসহ নির্দিষ্ট বিকাশ নম্বরের সিম ও ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি আরও জানান, মুক্তিপণের টাকা হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে পাচার করা হয়। উভয় দেশের সীমান্তবর্তী এলাকার কতিপয় ব্যক্তি এই চক্রের সাথে জড়িত।

বিভি/পিএইচ

মন্তব্য করুন: