• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

খালাস চেয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ

সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের রায় ১০ ফেব্রুয়ারি

প্রকাশিত: ১৩:৩৩, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫

ফন্ট সাইজ
সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের রায় ১০ ফেব্রুয়ারি

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় খালাস চেয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের আইনজীবী। সাত বছরের সাজা বহাল থাকবে নাকি খালাস হয়ে যাবেন, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি তা জানা যাবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে গতবছরের ৩ অক্টোবর এ মামলায় জামিন পান মাহমুদুর রহমান।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে মাহমুদুর রহমান আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তিনি পাঁচ দিন কারাভোগের পর জামিন পান।

২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার তৎকালীন অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাংবাদিক শফিক রেহমান, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, মিজানুর রহমান ভূঁইয়াসহ পাঁচ জনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনে জাসাস কার্যালয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় আসামিরা একত্রিত হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।

ওই ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ওই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন এ মামলায় ঢাকার আদালতে সাক্ষ্য দেন।

এরপর, আসামিদের দণ্ডবিধির ৩৬৫ ধারায় (অপহরণ) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাদের আরও একমাসের কারাভোগ করতে হবে। এছাড়া একই আইনে ১২০-খ ধারায় (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলেও বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।
 

বিভি/এআই

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2